স্বাস্থ্যবিধি মানলে সেকেন্ড ওয়েভে ভয় নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যবিধি মানলে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে কোনো ভয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বলেছেন, ‘আমরা যদি মাস্ক পরি, হাত পরিষ্কার রাখি, শারীরিক দূরত্ব মেনে চলি, তাহলে আমি মনে করি আমাদের দেশে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে কোনো ভয় নেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি জাতি ঢেউয়ের মধ্যেই থাকে, পদ্মা মেঘনা যমুনার মধ্যে ঢেউ আছে, বঙ্গোপসাগরের ঢেউও মোকাবিলা করে আসছে। করোনার ঢেউও আমরা ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারব।’
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিপিএমসিএর সভাপতি এম এ মুবিন খানের সভাপতিত্বে সভায় ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দাবি করেন, তার মন্ত্রণালয়ের ভূমিকায় অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে। ব্যবসা-বাণিজ্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
‘তবে সাধারণত শীতের সময় ভাইরাস বাড়ে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। শীতের দিনে বিয়ে-শাদি, পিকনিক, ওয়াজ মাহফিল বেশি হয়, লোকসমাগম বেশি হলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। লোকসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশে করোনার প্রথমবার মৃত্যুর পর দ্বিতীয়বার আবার শুরু হয়েছে। শুরুতে আমাদের জ্ঞান ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ছিল না। এখন আমাদেন জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আছে, সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। সুতরাং, দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। আমাদের এখন টিকে থাকার সময়, ঘুরে দাঁড়ানোর সময়।’
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর বলেন, ‘সাংবাদিকেরা সমালোচনা করেছেন বলেই আমরা এখন অনেক অর্গানাইজড। সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন করোনা প্রতিরোধে মডেল।’
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্সের প্রাক্তন ভিসি অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী।
সভায় অংশ নেন সংসদ সদস্য আনোয়ার খান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এনায়েত হোসেন।