South east bank ad

ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে কেজিতে, পাম অয়েলে মানা হচ্ছে না নির্ধারিত দাম

 প্রকাশ: ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে কেজিতে, পাম অয়েলে মানা হচ্ছে না নির্ধারিত দাম

বাজারে ভোজ্যতেলের বিপণন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা এবং নির্ধারিত পরিমাপক ও মূল্য মেনে না চলার অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। সরকারের পক্ষ থেকে ভোজ্যতেল লিটারে বিক্রির নির্দেশনা থাকলেও সেটি মানা হচ্ছে না। একই সঙ্গে পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৫ টাকা বেশিতে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের ভোজ্যতেলের স্থানীয় বাজারদর-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বাণিজ্যনীতি বিভাগের উপপ্রধান মো. মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত এ প্রতিবেদন সুপারিশসহ গতকাল বাণিজ্য সচিব বরাবর পাঠানো হয়। এতে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে তিনটি বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করা হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ৩ আগস্ট ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বৃদ্ধি করে সরকার। এ হিসাব অনুযায়ী, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৯ টাকা, পাঁচ লিটার ৯২২ টাকা ও খোলা প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা এবং পাম অয়েলের দাম দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকা।

সরকার নির্ধারিত এ দাম সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, সেটি যাচাই করতে সম্প্রতি বাজার মনিটর করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। এতে প্রাপ্ত অসংগতি তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে, যা দূর করতে তিনটি সুপারিশ করে তা বাস্তবায়নে বাণিজ্য সচিবকে অনুরোধ জানানো হয়।

ট্যারিফ কমিশন মাঠ পর্যায়ে যাচাই করে দেখতে পায় লিটারের পরিবর্তে ভোজ্যতেল কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে পাম অয়েল নির্ধারিত দামের চেয়ে ৫ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।

সুপারিশগুলো হচ্ছে খোলা ভোজ্যতেল পরিমাপের একক হিসেবে লিটারের ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ; পাম অয়েলের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত দাম বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে মাঠ পর্যায়ে তৎপরতা বৃদ্ধি এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণের জন্য মিলগেট, পরিবেশক বা পাইকার ও খুচরা মূল্য মনিটরিং কার্যক্রম জোরদারের ব্যবস্থা গ্রহণ।

ভোক্তা অধিকার আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, ভোজ্যতেলের দাম সরকার বেঁধে দেয়ার পরও যদি বাজারে সেটি কার্যকর না হয়, তবে সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভোজ্যতেল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। সামান্য দাম বৃদ্ধি পেলেও তাদের জীবনে চাপ পড়ে।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম ওঠানামার কারণে অনেক সময় স্থানীয় পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম মেনে চলা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে ভোক্তা সংগঠনগুলো মনে করে, ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে নানা অজুহাত দেখিয়ে বাড়তি মুনাফা করছেন।

BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: