South east bank ad

লজিস্টিকস সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্ন

 প্রকাশ: ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

লজিস্টিকস সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্ন

আন্তর্জাতিক লজিস্টিকস সূচকে সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা অগ্রগতি হলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এখনো সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস আয়োজিত ‘চ্যালেঞ্জেস, অপরচুনিটিজ অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড ইন শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস ল্যান্ডস্কেপ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ। দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদের সভাপতিত্বে বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. মো. মামুন হাবিব।

অ্যাগিলিটি ইমার্জিং মার্কেটস লজিস্টিকস ইনডেক্স (এইএমএলআই) অনুযায়ী, লজিস্টিকস খাতে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছে। ২০২২ সালে ৫০টি উদীয়মান দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৩৯তম, যা ২০২৩ সালে ৩৫তম ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে আরো দুই ধাপ এগিয়ে ৩৩তম স্থানে উন্নীত হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের লজিস্টিকস পারফরম্যান্স ইনডেক্স (এলপিআই) ২০২৩ অনুযায়ী, ১৩৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮তম, যেখানে স্কোর ছিল ৫-এর মধ্যে মাত্র ২ দশমিক ৬। তালিকায় ভারতের অবস্থান ৩৮ ও শ্রীলংকার ৭৩। এছাড়া বিশ্বব্যাংক গ্রুপের কনটেইনার পোর্ট পারফরম্যান্স ইনডেক্স (সিপিপিআই) ২০২৩ অনুযায়ী, শ্রীলংকার কলম্বো বন্দর বিশ্বব্যাপী ৪০তম স্থানে রয়েছে। বিপরীতে বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৩৩৯তম। এ সূচক বন্দরের কার্যক্ষমতা মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয়, যেখানে জাহাজের আগমন, টার্নঅ্যারাউন্ড টাইম ও সামগ্রিক দক্ষতা বিবেচনা করা হয়।

লজিস্টিকস উন্নয়নে দেশ পাঁচ দশক পিছিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘মার্কিন শুল্ক এবং এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণে রফতানি ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেলেও লজিস্টিকসের দক্ষতা বাড়িয়ে তা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব।’ এজন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে বেসরকারি অপারেটরদের জন্য উন্মুক্ত করা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘বন্দর ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়াতে বিদেশী অপারেটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত সমর্থন করা উচিত। তারা বন্দর ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এতে স্থানীয় কর্মীরা আধুনিক প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক মানের অনুশীলন শিখতে সক্ষম হবেন। ১০০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দ্রুত বে টার্মিনাল চালু করা এবং মোংলা ও পায়রা বন্দরের সক্ষমতা পুরোপুরি ব্যবহার করা দরকার।’

চট্টগ্রাম বন্দরে হঠাৎ ৪০ শতাংশ চার্জ বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বন্দর একটি সেবাভিত্তিক সংস্থা। কোনো আলোচনা বা যৌক্তিক ব্যাখ্যা ছাড়া আকস্মিকভাবে চার্জ বৃদ্ধি অযৌক্তিক।’

BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: