১৪ দল নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক মঙ্গলবার

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
দীর্ঘদিন পর ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল (১৫ মার্চ) মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
জোটনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। গতকাল (১৩ মার্চ) রোববার রাতে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠেয় গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকে ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতারা ছাড়াও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যে জোট নেতাদের আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে।
বৈঠকে রাজনৈতিক, সামাজিক, নির্বাচন নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি রাজনীতির মাঠে বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবিলায় ১৪ দলীয় জোটের ভূমিকা কী হবে- সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে কর্মকৌশল চূড়ান্তসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হবে।
বৈঠকের বিষয়ে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটায় জোট নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক হবে। আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
একই বিষয়ে আরকে শরিক দল ন্যাপের ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রায় তিন বছর পর আমরা জোট নেত্রীর সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকে বসবো। সেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, নির্বাচন নানা বিষয়ে কথা বলবো।
২০০৮ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ২৩ দফার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ১৪ দলীয় জোট। ওই সময় থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোটগতভাবে আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নেয় জোটের শরিকরা। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে শরিকদের প্রতিনিধিত্ব ছিল।
তবে সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের মন্ত্রিসভায় শরিক দলের কাউকে রাখা হয়নি। এরপর থেকেই নানা কারণে জোট শরিকদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। জোটের বৈঠক, দলের (শরিক দলসমূহ) বিবৃতি-বক্তৃতা এমনকি জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
যদিও ‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের আদর্শিক’ এই জোটের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের সব সময় দাবি ছিল- ১৪ দলের ঐক্য এখনও ‘অটুট’ আছে। যদিও এই সময়ে, বিশেষ করে করোনাকালীন মাঠের রাজনীতিতে তেমন কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি তাদের। তবে দিবস ভিক্তিক ভার্চুয়াল সভা করেছে নিয়মিত। তবে বেশ কিছুদিন হলে বাংলাদেশ জাসদসহ দু-একটি শরিক দলের নেতারা ভার্চয়াল সভায় অংশ নিচ্ছে না।
সর্বশেষ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে শুক্রবার ১৪ দলীয় জোটের ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায়ও জোট শরিকরা ১৪ দলীয় জোটকে সক্রিয় করার দাবি জানিয়েছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে জোটনেত্রী শেখা হাসিনা বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন তারা।
জোট নেতাদের মতে, রাজনৈতিক পারিপার্শ্বিক অবস্থা, বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে এখন থেকেই নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হবে। বর্তমান বাস্তবতা বা প্রেক্ষাপটে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টিও স্থান পাবে আলোচনায়।
একইসঙ্গে আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রয়োজনে জোটনেত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ ও মতামত কী- সে বিষয়েও অবহিত হবেন জোট নেতারা।