বিনিয়োগ বাড়াতে হবে পোলট্রি খাতে

২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশে দৈনিক প্রায় সাড়ে ৪ কোটি ডিম এবং সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টন মুরগির মাংসের প্রয়োজন হবে। এ জন্য পোলট্রি খাতে মোট বিনিয়োগ দরকার হবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এই চাহিদা পূরণ করতে হলে সরকারি- বেসরকারি সহযোগিতা বাড়াতে হবে। সরকারকে পোলট্রি খাতে আরও বেশি নজর দিতে হবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে '২০২১ সালের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের চ্যালেঞ্জ : সরকারি-বেসরকারি পরিকল্পনা প্রণয়ন' কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ পোলট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটি (বিপিআইসিসি)।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল বলেন, ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে না এলে পোলট্রি শিল্পের বিকাশ সম্ভব হবে না। ১২ থেকে ১৫ শতাংশ সুদ দিয়ে শিল্প করা কঠিন। ২০২১ সাল নাগাদ প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে পোলট্রি খাত উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, পোলট্রি খাতকে অবশ্যই বীমার আওতায় আনতে হবে। কেননা একটি স্থানে বার্ড ফ্লু হলে দেখা যায় পুরো এলাকার ভালো মুরগিও মেরে ফেলা হয়, এতে খামারিরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি আরও বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে হলে পুষ্টি ও বিনিয়োগ দুটিই গুরুত্বপূর্ণ।
২০২১ সাল নাগাদ পোলট্রি শিল্পে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ বাড়াতে এবং পোলট্রি শিল্পের অগ্রগতিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে এফবিসিসিআই।
বিপিআইসিসির আহ্বায়ক মসিউর রহমান বলেন, একটি লাগসই পোলট্রি শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে জাতীয় কৌশলপত্র ও কর্মপরিকল্পনা তৈরি করাই কর্মশালার মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, পোলট্রি শিল্পে বিনিয়োগ ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। এ জন্য সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন। শিগগিরই হালাল মাংস রফতানির জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রফতানির বাধাগুলো দূর করতে হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায় বলেন, আগামী দিনের চাহিদা বাড়াতে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের অবশ্যই এক হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, শুধু চাহিদা পূরণই যথেষ্ট নয়, নিরাপদ খাদ্য এবং ভোক্তার অধিকারের ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে। সিপিডির রিসার্চ ফেলো ড. সুবীর কান্তি বৈরাগী তার উপস্থাপনায় বলেন, আগামী দিনের চাহিদা মেটাতে খামার ব্যবস্থাপনায় আরও আধুনিকায়নের প্রয়োজন হবে এবং প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। পাশাপাশি গবেষণা কাজে অর্থায়নও বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। বিপিআইসিসির যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুল আরেফিন খালেদ অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন।