শিরোনাম

South east bank ad

ফ্লয়েড হত্যায় পুলিশ কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত, জেল হতে পারে ৪০ বছরের

 প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   আন্তর্জাতিক

ফ্লয়েড হত্যায় পুলিশ কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত, জেল হতে পারে ৪০ বছরের

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মিনিয়াপলিস শহরের বরখাস্তকৃত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনের বিরুদ্ধে আরোপিত সবগুলো অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। পাশাপাশি নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার হেনেপিন কাউন্টি আদালতে এ রায় পড়ে শোনান জুরি বোর্ডের বিচারকরা। আজ বুধবার (২১ এপ্রিল) এ খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি, সিএনএন ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের মে মাসে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনের বিরুদ্ধে আরোপিত তিনটি অভিযোগ ‌‌‘দ্বিতীয় ডিগ্রী’ অনিচ্ছাকৃত হত্যা, ‘তৃতীয় ডিগ্রি’ হত্যা এবং ‘দ্বিতীয় ডিগ্রি’ হত্যা সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে। এখন তাকে সর্বোচ্চ ৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হতে পারে।

আইন অনুযায়ী ‌‌‘দ্বিতীয় ডিগ্রী’ অনিচ্ছাকৃত হত্যার জন্য সর্বোচ্চ ৪০ বছর কারাদণ্ডাদেশ, ‘তৃতীয় ডিগ্রি’ হত্যার জন্য সর্বোচ্চ ২৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ‘দ্বিতীয় ডিগ্রি’ হত্যার জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ২০ হাজার ডলার জরিমানা করা হতে পারে।

এদিন তার জামিনের আবেদন করলে সেটি প্রত্যাহার করে দেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে (ডেরেক চৌভিন) আট সপ্তাহের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, রায় ঘোষণার সময় আদালতের বাহিরে জড়ো হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এ সময় তারা ‘ন্যায়বিচার’ এবং ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারস’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল।

গত ৩১ মার্চ হত্যাকাণ্ডের নতুন একটি ভিডিও আদালতে প্রদর্শন করা হয়। সেখানে দেখা যায়, আটকের পর জর্জ ফ্লয়েড পুলিশ অফিসারদের কাছে অনুনয় করে বলছে ‘আমি খারাপ লোক নই, আমার কোনো ক্ষতি করবেন না’।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা পুলিশ কর্মকর্তা টমাস লেন, জে আলেকজান্ডার কুয়েং এবং টু থাওয়ের বডি ক্যামেরায় ধারণ করা এই ভিডিও ফুটেজে আরো দেখা যায়, জর্জ ফ্লয়েড পুলিশের মুখোমুখি হচ্ছেন। এরপর প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে বলেন, ‘দয়া করে আমাকে গুলি করবেন না। কয়েকদিন আগেই আমি আমার মা’কে হারিয়েছি’।
হাতকড়া বাধা অবস্থাতেই তিনি টমাস লেন এবং জে আলেকজান্ডার কুয়েংকে বলছিলেন, আমাকে মারবেন না। বিনিময়ে আপনারা যা বলবেন তাই করতে রাজি আছি। এমন অবস্থার মধ্যেই ফ্লয়েডকে জোর করে গাড়িতে তুলতে যায় এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। তখন কান্না করে দেন কৃষ্ণাঙ্গ যুবকটি।

ঠিক ওই সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছান টু থাওয়ে এবং ডেরেক চৌভিন। পুলিশ অফিসাররা তাকে গাড়ি থেকে টেনে নামান এবং মাটিতে শুইয়ে দেন। এমন মুহূর্তেৃ জর্জ ফ্লয়েডকে বলতে শোনা যায়, তিনি তার মা এবং পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে বলছেন ‘সে তাদেরকে ভালোবাসে’। ভিডিওতে এটাও দেখা যায় যে, ফ্লয়েডের গলায় পুলিশ অফিসার ডেরেক চৌভিন টানা ৯ মিনিটের মতো চেপে ধরে রয়েছেন। এরপর তার নিঃশ্বাস পরীক্ষা করা হয়।

BBS cable ad

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর: