মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে

গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে একসঙ্গে কাজ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেনের এক ফোনালাপে বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে।
পরে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মানবাধিকার অনুশীলনের উপর দেশভিত্তিক প্রতিবেদন ২০২০ (কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্রাকটিসেস) প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতি বছর মানবাধিকার অনুশীলনের অবস্থা তুলে ধরে দেশভিত্তিক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। এই প্রতিবেদন তৈরিতে জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা এবং তৎপরবর্তী মানবাধিকার চুক্তি সমূহে নির্দেশিত পথ অনুসরণ করা হয়, তবে দেশভিত্তিক এই প্রতিবেদনে কোন ধরনের আইনি সিদ্ধান্ত দেয়া হয় না, কিংবা বিশ্বের দেশগুলোর জন্য অবস্থান ভিত্তিক কোন ক্রম তালিকা তৈরি করা হয় না কিংবা আদর্শমান অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে কিনা তাও ঘোষণা করা হয় না।
যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি বিশ্বের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে মানবাধিকার সুরক্ষিত, এর রক্ষাকারীরা সম্মানিত ও প্রশংসিত, এবং যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়। মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা বাড়ানোর কাজটি একা একা করার মতো কোন কাজ নয়, বরং এটি অর্জন করার সর্বোত্তম উপায় হলো বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের সাথে কাজ করা। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এমন একটি বৈদেশিক নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা আমাদের কূটনৈতিক নেতৃত্বের সাথে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মিলন ঘটায় এবং এটি গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সুরক্ষাকেন্দ্রিক বৈদেশিক নীতি।
স্টেট ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে মোমেনের গত ২১ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ, উভয়দেশের, সাধারণ চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা ও এগিয়ে নেওয়ার বিষয় গুলো গুরুত্ব পেয়েছে, যার গুরুত্ব আগামীতেও বহাল থাকবে। এই বিষয় গুলো মোকাবেলা ও সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ বরাবরের মতো একসাথে কাজ করবে।