ভারত থেকে চিনি রফতানি দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
ভারতে নতুন মৌসুমের জন্য চিনি রফতানি বরাদ্দ দ্বিগুণ করে ২০ লাখ টনে উন্নীত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন দেশটির শিল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, ব্যবহার কমে যাওয়ায় দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে সামনের দিনগুলোয় চিনির উদ্বৃত্ত বাড়ার সম্ভাবনা আছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
বিশ্ববাজারে চিনির দাম এরই মধ্যে পাঁচ বছরের সর্বনিম্নের কাছাকাছি রয়েছে। ভারত থেকে রফতানি বাড়লে আন্তর্জাতিক বাজারে ভবিষ্যৎ সরবরাহের চুক্তিতে কৃষিপণ্যটির দাম কমে যেতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
এক সময় ভারত বছরে গড়ে ৬৮ লাখ টন চিনি রফতানি করত। তবে ২০২৩-২৪ মৌসুমে খরা এবং সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে রফতানি ১০ লাখ টনে সীমিত রাখা হয়েছিল।
ডিরেক্টর ম্যানেজার অব ইন্ডিয়ান সুগার অ্যান্ড বায়ো-এনার্জি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএমএ) দীপক বল্লানি বলেন, ‘নতুন মৌসুমে চিনি রফতানির সম্ভাব্য পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ টন হতে পারে।’
জাতীয় কো-অপারেটিভ সুগার ফ্যাক্টরিজ ফেডারেশনের (এনএফসিএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকাশ নায়কনাভারে জানান, শিল্পসংশ্লিষ্টরা ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছে যেন মিলগুলো মৌসুমের শুরুতেই অপরিশোধিত চিনি রফতানি শুরু করতে পারে।
২০২৫-২৬ মৌসুমের জন্য ভারতের নিট চিনি উৎপাদন হতে পারে ৩ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টন। এর মধ্যে প্রায় ৩৪ লাখ টন ইথানল উৎপাদনে ব্যবহার হবে, যা গত বছরের তুলনায় ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
বর্তমানে ভারতে অভ্যন্তরীণভাবে চিনির দাম বৈশ্বিক দরের তুলনায় বেশি। তবে মিলগুলো আশা করছে, ডিসেম্বরের প্রথম দিকে রফতানি সমতা অনুযায়ী দাম স্থিতিশীল হবে।


