শিরোনাম

South east bank ad

বাজার থেকে ছয় মাসে ৩ বিলিয়নের বেশি ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক

 প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   বাংলাদেশ ব্যাংক

বাজার থেকে ছয় মাসে ৩ বিলিয়নের বেশি ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই বাজার থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত বৈধ পথে প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) প্রবাহ বাড়ায় ব্যাংকগুলোতে ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা গেছে। এতে দেশের বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার দর স্থিতিশীল রাখতে ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কেনা শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল তিনটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২২ টাকা ৩০ পয়সা দরে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি ডলার ক্রয় করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরিফ হোসেন খান জানান, চলতি ডিসেম্বরে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে ৯২ কোটি ডলার ক্রয় করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলোতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি দিয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রাটির দর স্থিতিশীল থাকার পাশাপাশি বাজারে টাকার সরবরাহ বেড়েছে। যদিও ডলার কিনে বাজারে টাকা সরবরাহ করায় মূল্যস্ফীতিতে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

মুদ্রাবাজারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার পর ডলারের দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১৩ জুলাই ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বেড়ে যাওয়ায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে, অর্থাৎ ডলারের দর যাতে কমে না যায়, সে জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ডলার কেনা হচ্ছে।

এ তথ্য জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘প্রবাসীরা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ডলারের বিপরীতে টাকার প্রায় ৪৫ শতাংশ অবমূল্যায়ন হলেও চলতি বছর সেটি হয়নি। বরং চলতি বছরে ডলারের বিপরীতে টাকা শক্তিশালী হয়েছে। বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনছে।’ আগের মতোই বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটির মাধ্যমে মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে এ ডলার কেনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে ডিসেম্বরের ২৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ আয় আগের বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। আগের বছরের ডিসেম্বরের ২৭ দিনে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৪০ কোটি ৮০ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয়ের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ, সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৫ লাখ এবং অক্টোবরে ২৫৬ কোটি ২৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

BBS cable ad

বাংলাদেশ ব্যাংক এর আরও খবর: