শিরোনাম

South east bank ad

ঝুঁকিতে অর্থনীতি

 প্রকাশ: ০৩ অগাস্ট ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   আমদানী/রপ্তানী

ঝুঁকিতে অর্থনীতি

অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে দেশে। অর্থনীতির একটি সূচকও এখন ভালো অবস্থানে নেই। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমছে। সরকারের হাতে ব্যয় করার মতো রিজার্ভ আছে ১৫ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে মাত্র তিন মাসের রফতানি ব্যয় মেটানো যাবে। বিগত কয়েক মাস ধরেই রেমিট্যান্স তুলনামূলক কম আসছিল দেশে, ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে রেমিট্যান্স আরও কমে গেছে। গত

প্রায় দুই বছরের অধিক সময় ধরে ডলারের বাজারের টালমাটাল অবস্থা এখন আবার নতুন করে বেসামাল হয়ে উঠেছে। রফতানি আয়ও কমছে ধারাবাহিকভাবে। আর উচ্চ মূল্যস্ফীতির কষাঘাত চলছে দীর্ঘদিন ধরে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বর্তমানে এই পাঁচটি দিক নিয়েই বড় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে দেশের অর্থনীতিতে।
এ ছাড়া ১০০ বিলিয়ন ডলারের যে বিদেশি ঋণ রয়েছে তার সুদসহ পরিশোধ করা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়া, কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়া ও শিল্পে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটও এখন অর্থনীতির জন্য বড় সমস্যা। এই অবস্থার মধ্যে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে যে সংকট রয়েছে তা যদি আরও দীর্ঘায়িত হয় তা হলে দেশের অর্থনীতি একেবারে কোমায় চলে যাবে বলে মত অর্থনীতিবিদদের।

অর্থনীতিতে প্রধান পাঁচটি সূচকের অবস্থা আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে আন্দোলন। কারণ এই আন্দোলন ও পরবর্তী অস্থিতিশীলতার প্রভাবে কমে গেছে রেমিট্যান্স। সদ্য বিদায়ি জুলাই মাসে ১৯১ কোটি মার্কিন ডলারের যে রেমিট্যান্স এসেছে তা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ এক মাসে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার কমে গেছে। একই সঙ্গে দেশে ডলারের দামে আবারও অস্থিরতা শুরু হয়েছে। ঢাকার খোলাবাজারে প্রতি মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে ১২৪-১২৫ টাকায় উঠেছে। দুই সপ্তাহ আগেও ডলারের দাম ১১৮-১১৯ টাকার মধ্যে ছিল। সদ্য বিদায়ি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৬১ কোটি ডলার কম। দেশে এখন ১০ শতাংশের মতো মূল্যস্ফীতি রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ  বলেন, বিগত দুই থেকে তিন বছর ধরেই দেশের অর্থনীতি এক রকম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। আমরাও বিভিন্ন সময় বলে আসছি, দেশের অর্থনীতি ভালো নেই, দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে-সরকার যেন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সরকার সময়মতো কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। যার কারণে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হয়ে আরও অবনতি হয়েছে। এই সংকটাপন্ন অবস্থার মধ্যে গত মাস থেকে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতির সর্বনাশ ডেকে এনেছে। এই অস্থিতিশীলতার নেতিবাচক প্রভাব ইতিমধ্যেই বেশ ভালোভাবেই পড়তে শুরু করেছে অর্থনীতির ওপর। বলা যায়, দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে কোমায় চলে যাচ্ছে। সামনে যদি পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়, তা হলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে দেশের অর্থনীতি-সেটিই দেখার বিষয়। আমার মনে হচ্ছে দেশের অর্থনীতির জন্য আরও খারাপ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।

BBS cable ad

আমদানী/রপ্তানী এর আরও খবর: