গণমাধ্যমে চিকিৎসকদের কথা বলতে বিএসএমএমইউ’র ‘কড়াকড়ি’
দেশে করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ চিকিৎসা সেবা সংক্রান্ত বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। যা নিয়ে অবশ্য সমালোচনা হয়েছে বেশ। এর মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কাউকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে একথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিএসএমএমইউর শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, কোনো টেলিভিশনের টকশোতে অংশগ্রহণ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস/শেয়ার প্রদান করার ক্ষেত্রে সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি যেন ক্ষুণ্ণ না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এবিএম আব্দুল হান্নান স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সম্মানিত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে এখন থেকে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতীত স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য/বিবৃতি প্রদান না করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এছাড়া সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এবিএম আব্দুল হান্নান এ বিষয়ে বলেন, ‘এই বিষয়টা আসলে নতুন নয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশে স্পষ্ট লেখা আছে। নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে এটা আছে। আবার একটু স্মরণ করিয়ে দেয়া। চিকিৎসকরা প্রফেশনাল কথাবার্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে বলবেন তাতে সমস্যা নেই।’ এর আগে গত ১৭ এপ্রিল নার্সদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে বারণ করে নার্সিং অধিদপ্তর। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে করোনা আক্রান্তদের সেবা দেয়া নার্সদের খাবার, থাকাসহ নানা বিষয়ে সমস্যার কথা তুলে তারা গণমাধ্যমে কথা বলার পর সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।