South east bank ad

২০৩২ সালে এলডিসি উত্তরণ চান ব্যবসায়ীরা

 প্রকাশ: ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   গার্মেন্টস/টেক্সটাইল

২০৩২ সালে এলডিসি উত্তরণ চান ব্যবসায়ীরা

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০২৬ সালে উত্তরণের কথা থাকলেও দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো এ সময়সীমা পিছিয়ে ২০৩২ সাল পর্যন্ত করার দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়া দ্রুত উত্তরণ হলে রপ্তানি খাতসহ অর্থনীতির নানা খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘এলডিসি থেকে উত্তরণে : আগামীর চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি), এফবিসিসিআইসহ ১৬টি জাতীয় ব্যবসায়ী সংগঠন।
এতে উপস্থিত ছিলেন আইসিসিবির সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সহসভাপতি এ কে আজাদ, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজীব এইচ চৌধুরী, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ প্রমুখ।

মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা উত্তরণকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। তবে টেকসই উত্তরণের জন্য আরও অন্তত তিন থেকে পাঁচ বছর সময় প্রয়োজন। এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর, রপ্তানি বৈচিত্র্য, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং গুণগত মানসম্পন্ন বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের নির্ধারিত মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচক এই তিনটি শর্ত টানা দুবার পূরণ করায় বাংলাদেশ ২০২৬ সালের নভেম্বরে এলডিসি থেকে আনুষ্ঠানিক উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এটি নিঃসন্দেহে জাতীয় গৌরবের বিষয়। তবে সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া উত্তরণ হলে নতুন সুযোগের বদলে তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।

ব্যবসায়ীরা মনে করেন, আগেভাগে উত্তরণ হলে শুল্কমুক্ত সুবিধা হারাবে বাংলাদেশি পণ্য।

BBS cable ad

গার্মেন্টস/টেক্সটাইল এর আরও খবর: