করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি কমানোর সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী
করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে বিনামূল্যে দেশব্যাপী পরীক্ষা হয়েছিল। এরপরও অনেকেই নানা কারণে পরীক্ষা করাতে সম্মত হননি। এর ফলে অনেক জায়গায় নানাভাবে বুঝিয়ে বা জোর করে পরীক্ষার খবরও প্রকাশ হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে এখন পর্যন্ত ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯১ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৮ জন।
করোনা মহামারিতে হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত হলো ফি’র মাধ্যমে পরীক্ষা করার। সিদ্ধান্ত হয় বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করালে ৩৫০০ টাকা, আর বাসায় এসে নমুনা সংগ্রহ করলে ৪৫০০ টাকা ফি দিতে হবে। এরপর জিকেজি হেলথকেয়ার, রিজেন্ট হাসপাতালসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের অভাবনীয় প্রতারণা দেখেছি আমরা। এরমধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান অবশ্য আগে থেকেই প্রতারণা করে আসছিল।
একপর্যায়ে সরকারিভাবে পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ফি নির্ধারণ করা হয়। ২৯ জুন ফি আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এতে বুথে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার ফি ২০০ টাকা এবং বাসা থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকা করার ঘোষণা আসে। এ ঘোষণার পর থেকেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার সংখ্যা কমতে থাকে। এর ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। তবে শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে।
চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে জানা যায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সচিবালয়ে বলেছেন: কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) পরীক্ষার ফি কমিয়েছে সরকার। এখন থেকে বুথে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার ফি ২০০ টাকার বদলে ১০০ টাকা করা হয়েছে। বাসা থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি কমানোর এই সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী বলেই আমরা মনে করি। যেখানে বিশ্বব্যাপী করোনা পরীক্ষার সংখ্যা দিন দিন বাড়ানো হচ্ছে সেখানে ফি ধার্য্য করে পরীক্ষাকে নিরুৎসাহিত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ফি কমানোর বদলে পূর্বের মতো ফ্রি পরীক্ষা করানো হলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।