শিরোনাম

South east bank ad

০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৭ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

 প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   এনবিআর

০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৭ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক—এ তিন প্রধান উৎস থেকে এ অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।

ঢাকা কাস্টম হাউজ পরিদর্শন শেষে গতকাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৩০ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। এটাও পরিবর্তন হবে; আরেকটু বাড়বে। কারণ আমাদের বুক অ্যাডজাস্টমেন্টে সাধারণত দুই সপ্তাহ সময় লেগে যায়, তাতে আমার ধারণা যে এটা আরো বাড়বে।’

আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমিসহ আমরা যারা এখানে আছি, আমরা কেউই অপরিহার্য নই। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র অপরিহার্য। আমাদের প্রতিটি কাস্টম হাউজ, শুল্ক স্টেশন অপরিহার্য। রাজস্ব আহরণের যতগুলো দপ্তর আছে, ট্যাক্সেস অফিস, ভ্যাট কমিশনারেট আছে, এগুলো প্রত্যেকটাই অপরিহার্য। তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু রাখাটা অপরিহার্য; এর কোনো বিকল্প নেই। কারা কাজ করবে, সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু এগুলোর অপারেশন কোনোভাবেই যেন বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখার জন্য আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করেছি।’

এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের অপসারণসহ বেশকিছু দাবিতে সম্প্রতি ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে নামেন এনবিআর কর্মীরা। পরে সরকারের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে ফিরলেও বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর আর বদলি আতঙ্কে রয়েছেন অনেকেই। তাই সাংবাদিকদের প্রশ্নেও সেই প্রসঙ্গ উঠে আসে। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রত্যেকে যদি দায়িত্বশীল আচরণ করেন, নিজেদের দায়িত্ব ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করেন, তাহলে আমি মনে করি না ভয়ের কোনো কারণ আছে। আর কেউ কেউ হয়তো অনেক বড় আকারেই, যেটা আমরা বলব সীমা লঙ্ঘন করেছে, সেটা হয়তো ভিন্নভাবে দেখা হবে। তবে সাধারণভাবে আমার মনে হয় না যে কারো ভয়ের কোনো কারণ আছে।’

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে জুনে চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। মে মাসে এনবিআর দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। সেই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কলম বিরতিসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের আন্দোলনের মধ্যে সরকার পিছু হটে। ২২ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাদেশে ‘প্রয়োজনীয় সংশোধনী’ আনা হবে। আর সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান কাঠামোয়ই চলবে এনবিআরের সব কাজ। সরকারের এমন ঘোষণায়ও আন্দোলন অব্যাহত থাকলে তিনদিন পর (২৫ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনবিআর বিলুপ্ত হবে না, বরং এ সংস্থাকে ‘স্বাধীন ও বিশেষায়িত’ বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করা হবে। এজন্য ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে অধ্যাদেশে সংশোধন আনার কথাও বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এর মধ্যে সংস্থাটির কর্মীরা নানা অভিযোগে এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে নতুন করে আন্দোলনে নামেন এবং সংস্থার কার্যালয়ে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন। এর অংশ হিসেবে ২৮ ও ২৯ জুন ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির আওতায় দেশের কাস্টম হাউসগুলো বন্ধ রাখা হয়। এরপর সরকার কঠোর অবস্থানে গিয়ে সংস্থাটির সেবাকে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। সংকট সমাধানে পাঁচ উপদেষ্টাকে নিয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। নানা নাটকীয়তার পর ব্যবসায়ীদের বেশ কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন অর্থ উপদেষ্টা। সেখানে ‘ইতিবাচক আশ্বাসের’ ভিত্তিতে ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের মধ্যস্থতায় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ শাটডাউন কর্মসূচি তুলে নেয়।

BBS cable ad

এনবিআর এর আরও খবর: