শিরোনাম

South east bank ad

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আহরণ

 প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   এনবিআর

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আহরণ

বেনাপোল কাস্টম হাউজে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ দশমিক ৫১ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আহরণ হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিদায়ী অর্থবছরের জন্য ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। সেখানে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৭ হাজার ২১ দশমিক ৫১ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা, সেখানে আহরণ হয়েছিল ৬ হাজার ১৬৭ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১৯ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা বেশি আহরণ হয়েছিল।

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কলমবিরতি ও কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির মধ্যেও বেনাপোল কাস্টম হাউজে কমিশনারসহ অন্য কর্মকর্তারা দপ্তরে উপস্থিত থেকে রাজস্ব আহরণ তদারকি করেছেন। ফলে চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত রাজস্ব আহরণ সম্ভব হয়েছে বলে জানান ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বন্দরবিষয়ক পরিচালক মতিয়ার রহমান।

কম দূরত্ব ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ভারতের সঙ্গে স্থলপথে বাংলাদেশের বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ আমদানি হয় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে। টাকার অংকে যার পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। এখান থেকে সরকার প্রতি বছর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করে।

রাজস্ব ফাঁকি রোধে কাস্টম কর্তৃপক্ষের কঠোর অবস্থানের কারণে এবারো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আহরণ সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা। তিনি জানান, এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ ট্রাক পণ্য ভারত থেকে আমদানি হয়। অন্যদিকে ১৫০-২০০ ট্রাক পণ্য বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়।

বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যেসব পণ্য থেকে সর্বোচ্চ রাজস্ব আহরণ হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে তাজা ফল, ওভেন কাপড়, অ্যালুমিনিয়াম, মোটর যন্ত্রাংশ, পিস্টন ইঞ্জিন, ডিজেল ইঞ্জিন, ফেরো সিলিকো ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন টাওয়ার, ল্যাটিকস, টিউব, পাইপ এবং স্টিল ব্লেড।

বিদায়ী অর্থবছরে বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ৬২ হাজার ৪৬৪ দশমিক ৩১ টন কম হলেও রাজস্ব আহরণ ৭৪৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বেড়েছে। এছাড়া দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দুই দেশের সম্পর্কের টানাপড়েন দেখা দেয়। ফলে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানি এবং বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক মামুন তরফদার জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭৭৪ দশমিক ৮৫ টন পণ্য ভারতে রফতানি হয়েছিল। বিদায়ী অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ দশমিক ৭৭ টনে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ হাজার ৬৬৫ দশমিক ৯২ টন। বন্দরের এ কর্মকর্তার মতে, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে, যা সমাপ্ত হলে আমদানি-রফতানি আরো বেড়ে যাবে।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান জানান, ‘বিদায়ী অর্থবছরে সার্বিক আমদানির পরিমাণ ৮ শতাংশ কমলেও রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধির হার ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। এটি বেনাপোল কাস্টম হাউজের উল্লেখযোগ্য অর্জন।’

BBS cable ad

এনবিআর এর আরও খবর: