দ্বিতীয় ধাপে মুজিববর্ষে বাড়ি পাবে ৩২৫টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার
কায়সার সামির (মুন্সিগঞ্জ):
‘মুজিববর্ষে দেশের কোনো মানুষ ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশে সারাদেশের ন্যায় দ্বিতীয় ধাপে মুন্সিগঞ্জে ৩২৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাবে সেমি পাকা ঘর। যা দুই শতাংশ জমির উপর নির্মিত। এমন বাড়ির ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ২০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। প্রত্যেকটি বাড়ির নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা। যা প্রথম ধাপের বাড়ি থেকে ২০ হাজার টাকা বেশি। এর আগে জেলায় প্রথম ধাপে ৫০৮টি ঘর দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ ২ প্রকল্প, ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি প্রকল্পের সুবিধাভোগী ভূমিহীন ও গৃহহীন নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর বছরে অর্থাৎ মুজিববর্ষে এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার। ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই শতক জায়গার উপর নির্মিত প্রতিটি বাড়িতে দু’টি শয়ন কক্ষ, একটি মালামাল সংরক্ষণের ছোট কক্ষ। এছাড়াও এ ঘরটিতে একটি টয়লেট ও রান্না ঘর থাকবে। বাড়ির সামনে থাকবে একটি বারান্দা।
দ্বিতীয় ধাপে ৩২৫টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলার ভাষানচর এলাকায় ২০০টি, সিরাজদিখানে ৭৫টি, গজারিয়া ২০টি, টঙ্গীবাড়ি ১৫টি ও শ্রীনগর উপজেলায় ১৫টি পরিবারকে দেওয়া হবে দুই শতাংশ জমির উপর নির্মিত সেমি পাকা ঘর।
এই মাসের ২০ তারিখে ৩২৫টি ঘর জায়গার দলিলসহ প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়। তিনি বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ পাবে মুজিববর্ষের এই বিশেষ উপহার। সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে ২০ জুনের মধ্যেই সবকটি ঘর কাঙ্খিত মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে প্রথম ধাপে মোট ৫০৮টি ঘর দেওয়া হয়েছে। সদর উপজেলায় ১০০টি, গজারিয়ায় ১৫০টি, লৌহজংয়ে ১৪৩টি, সিরাজদিখানয় ২৫টি, টঙ্গীবাড়িতে ২০টি ও শ্রীনগরে ৭০টি পরিবার দুই শতাংশ জায়গায় ও সেমি পাকা ঘর পেয়েছেন।