শিরোনাম

South east bank ad

গৃহহীন পরিবারকে গৃহপ্রদান : দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক সভায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার

 প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   জেলা প্রশাসক

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহারা থাকবে না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণার ধারাবাহিকতায় পৌনে ৯ লাখ গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারের তালিকা হয়। তার মধ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবারকে ঘরের মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া হল। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহপ্রদান কার্যক্রমের (দ্বিতীয় পর্যায়) শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিমূলক সভায় ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে ফরিদপুর অংশে সংযুক্ত হন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।

উল্লেখ্য জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নেতৃত্বে নয়টি উপজেলার ইউএনও এবং এসিল্যান্ডদের তদারকিতে গড়ে উঠছে আশ্রয়হীন মানুষের স্বপ্নের ঠিকানা 'স্বপ্ননীড়'। গৃহনির্মাণের এই কাজে সমানতালে ভূমিকা রেখেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী। 'আশ্রয়ণের অধিকার- শেখ হাসিনার উপহার' স্লোগান সংবলিত এ প্রকল্পে সারাদেশের মতো ফরিদপুর জেলার প্রতিটি ভূমিহীন-ঘরহীন পরিবারের জন্যও থাকছে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ঘর। প্রতিটি পরিবারের জন্য বানানো হচ্ছে দুই কক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর। পরিবার পিছু একটি ঘরের পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে ২ শতাংশ জমি।

প্রথম পর্যায়ে জেলার ফরিদপুর সদর উপজেলায় ২৯২ টি ঘর, আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ২২০ টি ঘর, বোয়ালমারী উপজেলায় ৯২ টি ঘর, মধুখালী উপজেলায় ১৪৮ টি ঘর, নগরকান্দা উপজেলায় ১০৫ টি ঘর, সালথা উপজেলায় ৩৫ টি ঘর, ভাঙ্গা উপজেলায় ২৫০ টি ঘর, সদরপুর উপজেলায় ১৭৮ টি ঘর, চরভদ্রাসন উপজেলায় ১৫০ টি ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। সরকারের এরকম কঠোর নির্দেশনা থাকায় ফরিদপুরের মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা দিনরাত এক করে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এ যেন আরেক মুক্তিযুদ্ধ। মুজিববর্ষে সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে তাদেরকে পুনর্বাসন করার যুদ্ধ।

BBS cable ad

জেলা প্রশাসক এর আরও খবর: