শিরোনাম

South east bank ad

অক্সফোর্ড -অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা আমদানিতে বেক্সিমকোকে এনওসি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর

 প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারী ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

অক্সফোর্ড -অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা আমদানিতে বেক্সিমকোকে এনওসি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-অ্যাস্ট্রোজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে এনওসি চেয়ে আবেদন করে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) টিকা আমদানিতে বেক্সিমকোকে এনওসি দেয় অধিদফতর। এর ফলে সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা দেশে আনতে কোনো বাধা থাকছে না।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়েছি। তারা (বেক্সিমকো) চাইলে এখন টিকা আনতে পারবে।

এদিকে করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশের পাওয়া নিয়ে হঠাৎ করেই অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনকারী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট টিকা রপ্তানি করতে পারবে না বলে আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশে এ উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে সেরামের কাছ থেকে টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। সেরামের টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার খবরে রোববার রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সরগরম হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপরই টিকা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা ও সংশয়ের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন পৃথক সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সেখানে তারা আশ্বস্ত করে বলেন, টিকা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ টিকা পাবে। ভারত সরকারও একই কথা বলেছে। সেরামের টিকা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মা কর্তৃপক্ষও পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশের টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সংকট হবে না বলে আশ্বস্ত করেছে। এসব খবরের মধ্যেই সোমবার অক্সফোর্ডের টিকা বাংলাদেশে আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

বাংলাদেশে টিকা নিয়ে তোলপাড় হওয়ার পর সেরাম ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষও বলেছে, টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার খবর পুরোপুরি সঠিক নয়। তবে অন্য দেশে টিকা রপ্তানির অনুমতি পাওয়া প্রক্রিয়াধীন। তবে ওই অনুমতি পেতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানিতে কড়াকড়ি থাকতে পারে।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত নিজেদের চাহিদা না মিটিয়ে অন্য দেশকে সরবরাহ করবে না- এটাই স্বাভাবিক। এ কারণে সরকারের উচিত এ বিষয়ে আরও বেশি তৎপরতা চালানো এবং অন্যান্য উৎস থেকেও টিকা পাওয়ার চেষ্টা করা।

এদিকে টিকার জন্য চুক্তি অনুযায়ী দ্রুত ১২ কোটি ডলার পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, মঙ্গলবারের মধ্যে ওই টাকা সেরামের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে।

BBS cable ad

ভিন্ন খবর এর আরও খবর: