শিরোনাম

South east bank ad

কর্ণফুলী টানেেলে ডিসেম্বরে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টিউব বসানোর কাজ

 প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

চট্টগ্রামের অন্যতম মেগা প্রকল্প কর্ণফুলী টানেলের ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ডিসেম্বরে শুরু হবে দ্বিতীয় টিউব বসানোর কাজ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এমনটিই আশা করছেন দেশের প্রথম টানেল প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। কর্ণফুলী টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, ‘অক্টোবর পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬০ শতাংশ। একটি টিউব বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় তথা শেষ টিউব বসানোর কাজ শুরু হবে। জানা যায়, চট্টগ্রাম শহর প্রান্ত থেকে আনোয়ারা উপজেলা পর্যন্ত টিউব নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী মাসের (ডিসেম্বর) মাঝামাঝি সময়ে আনোয়ারা প্রান্ত থেকে শহরমুখী দ্বিতীয় টিউব বসানোর কাজ শুরু হবে। টানেলের দুই প্রান্তে বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। এ ছাড়া পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী সংযোগ সড়ক, সেতু ও ওভারপাস নির্মাণের কাজও চলছে দ্রুতগতিতে।

চীনের সাংহাই নগরীর আদলে চট্টগ্রাম নগরী ও আনোয়ারাকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’-এর আদলে তৈরি হচ্ছে টানেল। এ টানেলের একপ্রান্তে আনোয়ারার ভারী শিল্প এলাকা। অন্যপ্রান্তে চট্টগ্রাম নগরী, বিমান ও সমুদ্র বন্দর। বিভক্ত দুই অংশকে এক সুতায় যুক্ত করতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তিন দশমিক চার কিলোমিটার টানেল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুমোদন পায়। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর। এর পরই শুরু হয় কর্মযজ্ঞ। এই প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার ও চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক যৌথভাবে অর্থায়ন করছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ২০২২ সালের মধ্যে টানেলটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি চালু হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম তথা দেশের অর্থনীতি। শিল্পকারখানা ও পর্যটন শিল্পে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

BBS cable ad

ভিন্ন খবর এর আরও খবর: