শিরোনাম

South east bank ad

মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিদ্যুতের মিটার রিডিং

 প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারী ২০১৬, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিদ্যুতের মিটার রিডিং
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ডিপিডিসির সকল এলাকায় মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিদ্যুতের মিটার রিডিং নেওয়া হবে। মোবাইলে ছবি তুলে মিটার রিডিং নেওয়া হবে। এতে বিদ্যুৎ বিলে শতভাগ স্বচ্ছতা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ১০টি এলাকায় এ পদ্ধতি চালু আছে। মঙ্গলবার ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) প্রধান প্রকৌশলী সেন্ট্রালের আওতাধীন এনওসিএসের বিদ্যুৎ সংযোগ ও গণশুনানিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজধানীর বংশালের বাসিন্দা মো. সালিমউল্লাহ মাত্র পাঁচদিনের মধ্যে বিদ্যুতের মিটার পেয়েছেন বলে গণশুনানিতে জানান। এমন সেবা যেন প্রত্যেক নাগরিক পান সে আশা করেন তিনি। অনুষ্ঠানে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. নজরুল হাসান সরাসরি গ্রাহকদের অভিযোগ শোনেন। অনুষ্ঠানে ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) ইঞ্জিনিয়ার মো. রমিজউদ্দিন সরকার, নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন) এটিএম হারুনুর রশীদ, নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল বাসাবো, বনশ্রী, বাংলাবাজার, বংশাল, নারিন্দা ও স্বামীবাগ এলাকার ৪০ জন গ্রাহক গণশুনানিতে অংশ নেন। গ্রাহকদের মধ্যে বনশ্রীর আলী আকবরকে তাৎক্ষণিকভাবে দুটি মিটারের অনুমোদন দেওয়া হয়। বাসাবো থেকে আসা আবুবকর তার এলাকায় একটি ট্রান্সফরমার দেওয়ার অনুরোধ জানান। জায়গা পেলে দ্রুত সময়ে ওই এলাকায় একটি ট্রান্সফরমার লাগানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বংশালের রেজাউল করিম সবুজকেও তাৎক্ষণিক বিদ্যুতের মিটার দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। নারিন্দার রোকেয়া আক্তারকে বকেয়া বিলের কিস্তি করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে একটি মিটার দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। নারিন্দার গ্রাহক মোহাম্মদ বাবুকে বকেয়ার কিস্তি এবং মিটার দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। বংশালের এয়ার মোহাম্মদ ও সালাউদ্দিনকেও তাৎক্ষণিক মিটারের অনুমোদন দেওয়া হয়। বনশ্রীর মরিয়ম সিদ্দিকা মেরীর মালিকানাধীন জমিতে আগে থেকেই বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে। এই অভিযোগে তাকে মিটার দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়। অথচ একই জমির অন্য শরিকরা এ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন না। এক বছর তিনি এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন কিন্তু পারছেন না। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। উপস্থিত বেশ কিছু গ্রাহক ডিপিডিসির সেবার প্রশংসা করেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আগামীতে বিদ্যুৎ বন্ধ না করেই মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হবে। অনেক প্রকল্প চলমান আছে। এগুলো শেষ হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ইউরোপ অথবা এশিয়ার উন্নত দেশের মতো বিদ্যুৎ সেবা পাবেন গ্রাহকরা। মিটার রিডিংয়ের ক্ষেত্রেও আর কোনো অভিযোগ থাকবে না। তিনি বলেন, গ্রাহককে সেবা দেওয়ার জন্য কিছু সার্ভিস চার্জ আছে। যে সার্ভিস চার্জ দেওয়া আছে গ্রাহকরা তাই দেবেন, কাউকে বেশি দেবেন না। ডিপিডিসির সকল গ্রাহক সেবাকে ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে। অনলাইনে বিদ্যুৎ সেবা গ্রাহকের দোরগোড়ায় পেঁৗছে দেওয়া হচ্ছে। শুনানিতে বংশালের মেহবুব হাসান বলেন, বিদ্যুৎ অফিসে দালাল চক্রে ভরা। দালালের কারণে সত্যিকার কর্মকর্তা খুঁজে পেতে সমস্যা হয়। দালালরা টাকার বিনিময়ে কাজ করে। অনেক সময় টাকা নিয়ে এ দালালরা যে কাজ করতে পারে সরাসরি গেলে সে কাজ হয় না। তবে সম্প্রতি এই দালালের উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। কোনো কোনো গ্রাহক বিদ্যুতের দাম কমিয়ে আনার দাবি জানান।
BBS cable ad

ভিন্ন খবর এর আরও খবর: