শিরোনাম

South east bank ad

আলুতে আড়াই হাজার কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা

 প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

আলুতে আড়াই হাজার কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা
সংবাদ সম্মেলনে হিমাগার মালিকরা দেশে আলুর উৎপাদন ১ কোটি টন ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ টন আলু বিক্রি হতে পারে। চাহিদা না থাকায় বাকি ২০ লাখ টন বিক্রি হবে না। এতে ২ হাজার ২৫০ কোটি থেকে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা লোকসান হবে। দেশের ৪১৬টি কৃষিভিত্তিক হিমাগার শিল্প থেকে শুরু করে কৃষক, ব্যাংক ও সরকার এ লোকসানের শিকার হবে। লোকসান কমাতে সরকারের কাছে প্রণোদনা দাবি করেছে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা দাবি করেছেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. মোশারফ হোসেন। অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. কামরুল হোসেন চৌধুরী, সচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। মো. মোশারফ হোসেন বলেন, দেশে এবার চাহিদার তুলনায় ১৫-২০ লাখ টন বেশি আলু উৎপাদিত হয়েছে। উৎপাদন বেশি থাকায় বাজারে আলুর চাহিদা কম রয়েছে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে সব ধরনের শাকসবজির দাম বেশি থাকলেও আলুর দামে নিম্নমুখিতা অব্যাহত রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ শেষ মুহূর্তে এসব আলু বিক্রি করতে না পারলে আমাদের সেগুলো ফেলে দেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। তিনি আরো বলেন, কৃষক পর্যায়ে সরকার সারের মাধ্যমে ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষকের কাছ থেকে উৎপাদিত আলু হিমাগার ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে সংরক্ষণ করছে ও সারা বছর এর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করছে। অথচ জুলাই থেকে আলুর ক্রমাগত দরপতনে এখন আলু বিক্রি করতে হচ্ছে প্রতি কেজি ২ থেকে ৩ টাকায়। এ লোকসান শুধু আমাদের নয়, তা কৃষক ও সরকারেরও। আমরা চাই সরকার অন্য হিমাগারগুলোয় যেভাবে প্রণোদনা দেয়, আমাদেরও সেভাবে প্রণোদনা দিক। ঋণের বোঝা পরিশোধ করতে না পারলে আমরা পরবর্তীতে আলু কিনতে পারব না। আর আলু না কিনলে কৃষক মার খাবে। ড. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, চার থেকে পাঁচ বছর ধরে আমরা নামমাত্র পরিমাণে আলু রফতানি করছি। একটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে আমরা রফতানি বাড়াতে পারছি না। সরকারের কাছে এ ব্যাপারে বারবার সহযোগিতা চেয়েছি। আমাদের রফতানিতে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে আমরা রফতানি করতে পারছি না। উন্নত জাতের আলু চাষ করতে পারলে আমরা হয়তো রফতানিতে ভালো করতে পারব। দেশের বিভিন্ন জাতের ১০০ কেজি আলু শুকিয়ে গুঁড়া করলে ৬ থেকে ৭ কেজি পাউডার পাওয়া যায়। কিন্তু অন্য দেশের আলু গুঁড়া করলে প্রায় সাড়ে ১২ কেজি পাউডার পাওয়া যায়। এ কারণে তারা আমাদের আলু নিতে চায় না। এখানে সরকারি সহযোগিতায় কাজ করতে পারলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রেডে প্রচুর আলু রফতানি সম্ভব। পরিস্থিতির উন্নয়নে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— চালের দাম বেশি থাকায় সরকারের বিভিন্ন ত্রাণকার্য ও কাবিখার মতো প্রকল্কগুলোয় চালের সঙ্গে আলু বিতরণ, ভাতের পরিবর্তে আলুর তৈরি খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস তৈরিতে সরকারের প্রচারণা, অন্যান্য কৃষিভিত্তিক শিল্পের মতো হিমাগার শিল্পে বিদ্যুৎ বিলের ওপর ২০ শতাংশ রিবেট প্রদান, ব্যাংকঋণ প্রদানে সহযোগিতা ও রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ খাতে ৩০ শতাংশ প্রণোদনা প্রদান।
BBS cable ad

ভিন্ন খবর এর আরও খবর: