দ্বার খুলছে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের

অপেক্ষার পালা শেষ করে অবশেষে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে যশোরে নির্মিত ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের। আগামী ১০ ডিসেম্বর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যশোর জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে বুধবার দুপুরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানবিষয়ক প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় এ সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জাহাঙ্গীর আলম জানান, উদ্বোধনের জন্য ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, এ পার্কের মূলভবনে ইতোমধ্যে জাপানের দুটি কোম্পানিসহ ৫৫টি কোম্পানিকে পার্কে আইটি ব্যবসার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্টার্টআপ কোম্পানি হিসেবে তরুণদের বিনামূল্যে পুরো একটি ফ্লোর বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, খুলনা বিভাগের ১০ জেলাকে টার্গেট করেই যশোরে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক করা হয়েছে। দেশ-বিদেশের আইটি শিল্প উদ্যোক্তারা এখানে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। এ পার্কে মূলত সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ফ্রিল্যান্সিং/আউটসোর্সিং, কল সেন্টার, রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আর অ্যান্ড ডি)- এ কাজগুলো হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রেজায়ে রাব্বীসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
প্রকল্পের সার্ভে প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে একটি বিশ্বমানের আইটি পার্ক স্থাপনের ঘোষণা দেন। সেই অনুযায়ী ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যশোরের বেজপাড়া নাজিরশংকরপুর এলাকায় এ আইটি পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মোট জায়গার পরিমাণ দুই লাখ ৩২ হাজার বর্গফুট। ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ হাইটেক পার্কে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসহ রয়েছে ১৫ তলাবিশিষ্ট এমটিবি ভবন, ১২ তলাবিশিষ্ট ফাইভ স্টার মানের ডরমেটরি ভবন, অত্যাধুনিক কনভেনশন সেন্টারের সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং।
জাপানি উদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী ডরমেটরি ভবনের ১১ তলার পুরোটাতে আন্তর্জাতিক মানের জিম স্থাপন করা হয়েছে। আর সব বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছে ভূমিকম্প প্রতিরোধক কম্পোজিট (স্টিল ও কংক্রিট) কাঠামোতে। ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে ১৪ হাজার বর্গফুটের জায়গা রয়েছে।
এছাড়াও এতে থাকছে ৩৩ কেভিএ পাওয়ার সাব-স্টেশন, ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট লাইন এবং অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের সুবিধা। ধারণা করা হচ্ছে এ পার্কে ১২ হাজার লোকের আয়ের উৎস হবে। উল্লেখ্য এর আগে ৫ অক্টোবর এ সফটওয়্যার পার্কে চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৩০টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল।