শিরোনাম

South east bank ad

লাখ টাকার মালিকরা সম্পদশালী, কর দিতে সক্ষম: অর্থমন্ত্রী

 প্রকাশ: ০৩ জুন ২০১৭, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

লাখ টাকার মালিকরা সম্পদশালী, কর দিতে সক্ষম: অর্থমন্ত্রী
সম্পদশালীদের কাছ থেকে কর আদায়ের জন্য ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের ডিপোজিটের ওপরে একটা কর বাড়ানো হয়েছে। এটা নিয়ে আগেও কিছু কথাবার্তা হয়েছে। সেসব বিবেচনায় নিয়ে যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক লাখ টাকার বেশি থাকবে শুধু তাদের ওপর এটা প্রযোজ্য করেছি।’ শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত আছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান প্রমুখ। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বড় লোকের ডেফিনেশন দেয়া খুব মশকিল। আমার মনে হয় এক লাখ ডিপোজিট যার থাকবে তাকে সম্পূর্ণরূপে ভারমুক্ত করা, সেটাই যথেষ্ট। তার ওপরে যারা আছেন তারা আমাদের দেশের তুলনায় যথেষ্ট সম্পদশালী বলেই মনে হয়। সুতরাং বাড়তি ব্যয় বহন করতে পারবেন।’ বছরের যেকোনো সময় ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকা ডেবিট কিংবা ক্রেডিট হলে এতদিন ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক কাটা হতো; নতুন অর্থবছরের বাজেটে শুল্ক ৮০০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এতদিন বছরের যেকোনো সময় অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডেবিট ও ক্রেডিটের ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক আরোপ করা হতো না। এখন এক লাখ টাকার অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন এক লাখ টাকার ঊর্ধ্বে হতে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিদ্যমান ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা, ১০ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে হতে এক কোটি টাকা পর্যন্ত এক হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে দুই হাজার ৫০০ টাকা, এক কোটি টাকার ঊর্ধ্বে হতে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত সাত হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১২ হাজার টাকা এবং পাঁচ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে বিদ্যমান ১৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ২৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের ‘ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যাট অল লেভেলস’ নীতি ও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতির ফলে ব্যাংকিং খাতে লেনদেনের আকার ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিবেচনায় রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দি এক্সাইজ অ্যান্ড সলট অ্যাক্ট, ১৯৯৪ সংশোধনীর এই প্রস্তাব করছি।’
BBS cable ad

ভিন্ন খবর এর আরও খবর: