৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বাইরে যাওয়ার আবদার!
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানুষজনের অজুহাতের শেষ নেই।
বিভিন্ন ছুতোয় বাইরে যাওয়ার উপায় খুঁজতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন অনেকেই। এমনকি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়েও বাইরে যাওয়ার উপায় বাতলে দেওয়ার আবদার করছেন অনেকেই। নানা প্রয়োজন দেখিয়ে বাইরে যেতে পারবেন কিনা, কীভাবে যাবেন সেসব উপায় জানতে ফোন করছেন তারা।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ২২-২৩ হাজার কল আসে। কিন্তু লকডাউনের প্রথম দিনে কল এসেছে প্রায় ২৯ হাজার। এসব কলের বেশিরভাগই ঘরের বাইরে যাওয়া সংশ্লিষ্ট।
৯৯৯-এ দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে ‘মুভমেন্ট পাস’ চালু করেছে পুলিশ। মুভমেন্ট পাস সার্ভারে ঢুকতে পারছেন না, কিংবা ধীরগতি সেজন্যও অনেকে ৯৯৯-এ ফোন দিচ্ছেন। তারা কীভাবে মুভমেন্ট পাস পেতে পারেন সেসব বিষয়ও জানতে চাচ্ছেন।
তিনি বলেন, মুভমেন্ট পাস অ্যাপটি চালুর পর থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ একসঙ্গে পাস পেতে চেয়েছেন, সে কারণে সার্ভার স্লো হয়ে যাচ্ছে। আর এজন্যও জরুরি সেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ হটলাইনে অনর্থক ফোন দিয়ে ব্যস্ত রাখা হচ্ছে। আমরা অপেক্ষা করে চেষ্টা করার কথা বলে যাচ্ছি।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মুভমেন্ট পাস অ্যাপটি উদ্বোধনের পর প্রথম ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২ কোটি ৭৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪৯৫ হিট পড়েছে। সে হিসাবে, প্রতি মিনিটে হিট পড়েছে ১৪ হাজার ৫৫৭টি।
প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ২২ হাজার ২২৯ জন ব্যক্তি মুভমেন্ট পাসের জন্য আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৭৯ জনকে মুভমেন্ট পাস ইস্যু করা হয়েছে।
বাজার করতে বাইরে যেতে পারবেন কিনা, পারিবারিক কারণ দেখিয়ে, আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার বিষয়েও কল করা হচ্ছে ৯৯৯ নম্বরে। মুভমেন্ট পাস না পেলে কীভাবে বাইরে যাবেন সেই বিষয়ও জানতে চেয়েছেন অনেকে।
সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, তার বাড়ির কাজ চলছিলো। লকডাউনে কাজ চলমান রাখতে পারবেন কিনা। কবে থেকে কাজ করতে পারবেন, এ ধরনের অনর্থক জিজ্ঞাসাও করেছেন তিনি।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, লকডাউনে মানুষের জরুরি সেবায় কল বেড়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ কলই মুভমেন্ট পাস কিংবা বাইরে যাওয়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ে। আমরা সেসব নাগরিকদের সরকার নির্দেশিত ১৩ দফা মেনে চলতে বলছি। তাদের যেসব চাওয়া উল্লেখিত ১৩ দফার মধ্যে পড়ছে না, সেসব কাজে আমরা অনুৎসাহিত করছি।