ধর্মকে অপব্যবহার করে নৈরাজ্য মোকাবিলা করবে প্রশাসন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শনকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো নৈরাজ্য কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার (০৩ এপ্রিল) সংগঠনটির ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী চলমান কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনলগ্নে কতিপয় ধর্মান্ধ, উগ্রপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের একটি জরুরি সভা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কবির বিন আনোয়ার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলা করে দেশ যখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন কতিপয় উগ্রপন্থী এবং ধর্মান্ধ ব্যক্তি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে এবং জনগণের সম্পত্তি ধ্বংস করছে। এমনকি কোমলমতি শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দেশের স্বাধীনতা ও মৌলচেতনাবিরোধী অরাজকতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এসব ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং এর বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
সভায় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয় যে, জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শনকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং এ লক্ষ্যে দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো নৈরাজ্য কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, সম্প্রতি কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সভায় দেশবাসীকে করোনা মোকাবিলায় সরকারি স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য আহ্বান জানানো হয়।
করোনার সংক্রমণ কমাতে সরকার ঘোষিত ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানানো হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে এবং কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনাসমূহ কঠোরভাবে বলবৎ করার জন্য মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদে অনুরোধ করা হয়।