বাণিজ্য মেলার পর্দা নামছে আজ

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২১তম আসরের পর্দা নামছে আজ। বিকাল ৪ টায় সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে মিলনমেলা সমাপ্ত হবে। এবারের মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মেলা কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা। মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মো: রেজাউল করিম জানান, শুরু থেকেই দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর ছিল এবারের বাণিজ্য মেলা। আশা করি, রাজধানীবাসী মাসব্যাপী এ মেলা ভালোভাবে উপভোগ করতে পেরেছেন। ব্যবসায়ীরাও আশানুরূপ ভালো বিক্রি করেছেন।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সূত্রে জানা যায়, আজ রবিবার বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণে সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলার পর্দা নামবে। এদিন আকর্ষণীয় স্টল তৈরি ও ব্যতিক্রম উদ্যোগের জন্য পুরস্কৃত করা হবে উদ্যোক্তাদের।
এ বছর মেলা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিলো বলে দাবি করেছেন মেলা কর্তৃপক্ষ। শেষ সময়ে নিরাপত্তা কর্মীও বাড়ানো হয়েছে। মেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শুক্র ও শনিবারের কথা বিবেচনায় নিয়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কারণ কর্তৃপক্ষ চাইছে না, শেষ সময়ে এসে কোনো ধরনের অঘটন ঘটুক। বাণিজ্য মেলায় দায়িত্বরত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মেলা প্রাঙ্গণে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কাউকে সন্দেহ হলেই সাথে সাথে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। মেলার নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মেলার গেটের ইজারাদার মীর শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, এ বছর মেলা ভালো জমেছে। মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খুব ভালো ছিলো। কোনো অসুবিধায় পড়তে হয়নি। আমরা যথাসাধ্য দর্শনার্থীদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
শেষ সময়ে বেচা-বিক্রিতে অসম প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বিক্রেতারা। চলছে শেষ সময়ের বেচাকেনার উত্সব। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ছাড়। ব্যবসায়ীরা জানান, বাণিজ্য মেলা হচ্ছে নিত্যনতুন পণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রির সুস্থ প্রতিযোগিতার জায়গা। এখানে বিক্রেতারা নিজেদের সেরা পণ্যটাই বিক্রির চেষ্টা করছেন। পরবর্তী সময় যেসব পণ্য বাজারে আসবে সেগুলোও আমরা মেলায় বিক্রি বা প্রদর্শন করেছি। দেশি ব্র্যান্ডের শার্ট মেলায় পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে। ফার্নিচার প্যাভেলিয়নগুলোতে মেলায় নিয়মিত দামের চেয়ে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেয়া হচ্ছে। শেষ সময়ে উপচেপড়া ভিড় প্লাস্টিক পণ্যের প্যাভেলিয়নগুলোতে।
চামড়া, সিনথেটিক, উল আর পাটের তৈরি বাহারি কার্পেটে এরই মধ্যে আকৃষ্ট হয়েছেন ক্রেতারা। প্যাভেলিয়নে চামড়ার ৫ ফুট বাই ৭ ফুট আকারের কার্পেট পাওয়া যাচ্ছে ৯ হাজার ৫০০ টাকায়। সিনথেটিকের সাড়ে ৫ বাই ৭ ফুটের কার্পেট পাওয়া যাবে ২২ হাজার টাকায়। মেলার ইলেকট্রোনিক্স পণ্যে পাওয়া যাচ্ছে ৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়।
মেলায় ডজন খানেক স্টলে বিভিন্ন ধরনের কাশ্মীরি বিছানার চাদর, কুশন ও শাল পাওয়া যাচ্ছে। তরুণীদের জন্য বাহারি ব্যাগ আছে প্রায় ১০ ধরনের। ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে পাঁচ সেটের কাশ্মীরি বেডশিট। টেবিল ম্যাট পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। বালিশ বা সোফার কুশন পাওয়া যাচ্ছে ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায়। কাশ্মীরি নকশায় মেয়েদের হ্যান্ডব্যাগ পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকায়।