শিরোনাম

South east bank ad

সংকটেও ২৫০ কোটি টাকা মুনাফা ওয়ালটনের

 প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   কর্পোরেট

সংকটেও ২৫০ কোটি টাকা মুনাফা ওয়ালটনের

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও ভূ-রাজনৈতিক সংকটসহ নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও ওয়ালটনের ব্যবসায় সুবাতাস বইছে। ব্যাপক মুনাফায় রয়েছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই ২০২২-মার্চ ২০২৩) কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। এ সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ দশমিক ২৫ টাকা। কোম্পনিটির সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজকে বড় অংকের মুনাফা বিসর্জন দিতে হয়েছে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ৩৯২ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৪ দশমিক ১৮ কোটি টাকা। এ সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয় হয়েছে ৬০৪ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪৯ দশমিক ৬০ কোটি টাকা। ফলে ওয়ালটনের ব্যবসায় সুবাতাস বইলেও কোম্পানির মুনাফার বড় অংশ গেছে ডলারের পেটে।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ওমর ফারুক রিপন জানান, ডলারের দাম না বাড়লে এ সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা হতো প্রায় ৬২২ কোটি টাকা। আর শেয়ারপ্রতি আয় প্রায় ২১ টাকা হতো।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ববাজারে সব ধরনের পণ্যের কাঁচামাল এবং খুচরা যন্ত্রাংশের দাম ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশী মুদ্রার বিনিময় মূল্যে। গত এক বছরে দেশে ব্যাংক খাতে ডলারের দাম ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ টাকায় ওঠে। এজন্য শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানি বড় অংকের মুনাফা হারায়। অনেক কোম্পানি লোকসানে চলে যায়। কিন্তু নানা উদ্ভাবনী পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়ায় সব প্রতিকূলতার মধ্যেও মুনাফার ধারা ধরে রেখেছে ওয়ালটন হাই-টেক।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (তৃতীয় প্রান্তিক) ওয়ালটনের শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া দাঁড়িয়েছে ২২৪ দশমিক ৫৭ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩২৭ দশমিক ৮৪ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭৩ দশমিক ৭০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৫০ দশমিক ৪৯ গুণ বেশি। একই সঙ্গে ২০২২ সালের মার্চ সমাপনীর তুলনায় ২০২৩ সালের মার্চ সমাপনীতে মোট ব্যাংকঋণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটির ঋণ কমেছে প্রায় ৮৩০ কোটি টাকা।

মজুদ পণ্যের ওপর অধিকতর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং রিসিভেবলসের উন্নতির সঙ্গে কোম্পানির সব খরচের ওপর পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ এবং সম্পদের সঠিক ব্যবহারের ফলে উল্লেখযোগ্য হারে নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) বেড়েছে। সরবরাহকারী ও অন্যদের পেমেন্ট বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমায় ইতিবাচক এনওসিএফপিএস অর্জন সম্ভব হয়েছে।

BBS cable ad

কর্পোরেট এর আরও খবর: