বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে সন্দেহজনক লেনদেন: একাউন্ট স্থগিত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তথ্য হস্তান্তর
দেশের বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে সন্দেহজনক লেনদেন হওয়ায় বেশ কয়েকটির একাউন্টে লেনদেন স্থগিত করেছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।
এরই সাথে এসব একাউন্টের তথ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে নগদ।
বিষয়টি নিয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানা যায়।
গত কয়েকদিনে কিছু সংখ্যক ‘নগদ’ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎ করে বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোয় অস্বাভাবিক লেনদেন পরিলক্ষিত হচ্ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অধিকতর পর্যালোচনা ও লেনদেনের ধরন পরীক্ষা করে কিছু অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে অ্যাকাউন্টগুলোর তালিকা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর কাছে হস্তান্তর করেছে প্রযুক্তিগতভাবে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।
এ বিষয়ে ‘নগদ’-এর হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাওসার সওকত আলী (অব.) বলেন, “সরকারি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটর ‘নগদ’ প্রযুক্তিগতভাবে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। প্রযুক্তিগত সক্ষমতার কারণে ‘নগদ’-এর প্ল্যাটফর্মে কোনো ধরনের দুরভিসন্ধিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা দুরূহ। তাছাড়া লেনদেনকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে আনার ফলে অপরাধমূলক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ যে অধিকতর সহজ হয়, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।”
২০১৯ সালের ২৬ মার্চ উদ্বোধনের পর থেকে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ সাধারণ মানুষের আর্থিক লেনদেনকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে আনতে কাজ করছে। গত আড়াই বছরে এমএফএস অপারেটরটি ৫ কোটি ৪০ লাখ গ্রাহক পেয়েছে। একই সঙ্গে দৈনিক লেনদেন ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।