শিরোনাম

South east bank ad

‘ঈদের আগে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও মসলার চাহিদা কম’

 প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ক্রয়-বিক্রয়

‘ঈদের আগে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও মসলার চাহিদা কম’

দেশে ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে মসলাসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য আমদানি করছেন মেসার্স অসীম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) চট্টগ্রাম কসমোপলিটনের সাবেক প্রেসিডেন্ট অসীম কুমার দাশ। সম্প্রতি তিনি মসলার বাজার সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়, বিশেষ করে কোরবানির ঈদকে ঘিরে মসলার চাহিদা, দাম, সরবরাহ, শুল্ক কাঠামো ও সীমান্ত চোরাচালান নিয়ে কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বণিক বার্তার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সুজিত সাহা

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দেশে কোন ধরনের মসলা বিক্রি বাড়ে?

কোরবানির ঈদে গরম মসলার চাহিদাই বেশি থাকে। দেশের মানুষ কোরবানির আগে মজুদের উদ্দেশে বেশি পরিমাণে মসলা কেনে। ফলে এ সময় জিরা, দারুচিনি, এলাচ, গোলমরিচ, ধনিয়ার মতো মসলার চাহিদা বেশি থাকে। তবে জিরা ও দারুচিনি ক্রয়ের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এ দুই পণ্য বিক্রি হয় বেশি।

ঈদকে সামনে রেখে দেশে মসলাপণ্যের চাহিদা ও সরবরাহ কেমন?

দেশের অধিকাংশ মসলাপণ্যই আমদানিনির্ভর। স্থানীয়ভাবে যেসব মসলা উৎপাদন হয় সেগুলোও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় আমরা বিশ্ববাজারের ওপর নির্ভরশীল। ফলে আদা, রসুন থেকে শুরু করে মরিচ, হলুদ, ধনিয়ার মতো পণ্যও এখন আমদানি করতে হচ্ছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আমদানিও বাড়ছে। তবে এ বছর দেশে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক বেশি।

এ বছর দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ভোক্তারাও। আপনি কী মনে করেন?

কোরবানির ঈদের আগে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে বাড়তি চাহিদা তৈরি হলে পণ্যের দামে ওঠানামা হতো। এ বছর মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ভোগ প্রবণতা কমেছে, যে কারণে চাহিদাও কম। ফলে সরবরাহ বেশি বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি সীমান্তপথ দিয়ে অবৈধভাবে মসলার প্রবেশ বেড়েছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসান দিয়ে পণ্য বিক্রি করছেন। যা আমদানি বাণিজ্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ভালো কিছু নয়। আমদানির শুল্ক ও শুল্কায়ন মূল্যে অসামঞ্জস্যের কারণে কিছু মসলাপণ্যের দাম অনেক বেশি। যে কারণে সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে সড়কপথে অবৈধভাবে আমদানির পরিমাণ অস্বাভাবিক বেড়েছে। কিন্তু বৈধ চ্যানেলে যারা আমদানি করেছেন, তারা বড় লোকসান দিয়ে পণ্য বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছেন।

শুল্ক কাঠামো ও শুল্কায়ন মূল্য কীভাবে মসলার অবৈধ ট্রেডকে উৎসাহিত করছে বলে আপনি মনে করেন?

বর্তমানে বিশ্ববাজারে জিরার দাম ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ ডলার। কিন্তু দেশে অ্যাসেসমেন্ট করা হয় সাড়ে ৩ হাজার ডলারে। কয়েক মাস আগে এলাচের শুল্কায়ন মূল্য দ্বিগুণ করে ১৫ ডলার করা হয়েছে। প্রতি কেজি মসলায় ৬৩-৬৪ শতাংশ শুল্ক পরিশোধের ফলে প্রতি কেজি এলাচের শুল্ক দিতে হয় ১ হাজার ১০০ টাকা। কিন্তু চোরাকারবারিদের এলাচে কেজিপ্রতি ১১০০ টাকা শুল্ক দিতে হয় না। সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ করা না গেলে আমদানিনির্ভর পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা যাবে না।

মসলার বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে আপনার পরামর্শ কী?

সীমান্ত চোরাচালান একেবারেই বন্ধ করা না গেলেও যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। ব্যবসায়ীরা আমদানি কমিয়ে দিলে তো সরকার শুল্ক পাবে না। ফলে শুল্ক মূল্যবৃদ্ধি কিংবা শুল্কায়ন ভ্যালু বাড়িয়ে সরকার লাভবান হবে না। আমদানির ক্ষেত্রে কাস্টমস, বন্দরে আরো সুবিধা দিলে দেশে এসব পণ্যের অবৈধ ট্রেড দিন দিন বাড়বে।

BBS cable ad

ক্রয়-বিক্রয় এর আরও খবর: