স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকে পরিণত হচ্ছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডকে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকিংয়ে রূপান্তরের অনুমতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রচলিত ব্যাংকিংকে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকিংয়ে রূপান্তরের জন্য অনুমতি চেয়েছিল স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।
আর গত ২৯ ডিসেম্বর স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংককে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে রূপান্তরের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুসারে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকিংয়ে রূপান্তর ও পরিচালিত হবে।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৯৬ পয়সা। আগের বছর ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৩১ পয়সা ও ১৫ টাকা ৪৬ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৯১ পয়সা।
এদিকে শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ আট টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল আট টাকা ৩০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির ১৭ লাখ ৫০ হাজার ৭৫৮টি শেয়ার মোট ১৯৩ বার হাতবদল হয় যারা মোট মূল্য এক কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনিম্ন আট টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ আট টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর সাত টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১০ টাকায় ওঠানামা করে।
ব্যাংক খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা এক পয়সা।
এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার পাঁচ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০০ কোটি ৫৯ লাখ ৯০ হাজার ৭৮৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২২ দশমিক ৩২ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত পাঁচ দশমিক ২৯ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৫৬ দশমিক ৫৯।
এদিকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এ কোম্পানিটি। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ছয় পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৪ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাস (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২০) শেষে শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ১১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪৩ পয়সা।
এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৮৭ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১৬ টাকা ১৫ পয়সা। আর তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে দুই টাকা ৪১ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় সাত টাকা ৪৩ পয়সা ছিল।