ব্যাংক খাতে লেনদেন কমেছে ২৬ শতাংশ

দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এর আগের সপ্তাহে যেখানে গড় লেনদেন ছিল ৭০ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। সে হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে গড় লেনদেন কমেছে প্রায় ২৬ দশমিক ৪২ শতাংশ। গত কয়েক মাস ধরেই খাতভিত্তিক লেনদেনে ব্যাংক খাত বেশিরভাগ সময় শীর্ষ অবস্থানে ছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৪ হাজার ৭৮১ পয়েন্ট। এছাড়া গত সপ্তাহে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৭৭০ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত সপ্তাহে ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৩৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৩৯০টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩২টির, কমেছে ১২৩টির, অপরিবর্তিত ছিল ৩৫টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ২৩টির। গত সপ্তাহে সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে সোনারগাঁও টেক্সটাইলস, এইচআর টেক্সটাইল, শাইনপুকুর সিরামিকস, বীকন ফার্মা ও বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিকসের শেয়ার। ডিএসইতে গত সপ্তাহের ছয় কার্যদিবসে মোট ১ হাজার ৭২২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা।
খাতভিত্তিক লেনদেনে গত সপ্তাহে ব্যাংক খাতের আধিপত্য ছিল। লেনদেনচিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ১৯ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ব্যাংক খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ দখলে নিয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। এছাড়া ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। আর পঞ্চম স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের দখলে ছিল ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে চামড়া প্রতিষ্ঠান খাতের শেয়ারে সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এছাড়া কাগজ ও মুদ্রণ খাতে ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, বস্ত্র খাতের শেয়ারে ৩ দশমিক ১ ও সিরামিক খাতে ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন ছিল। অন্যদিকে গত সপ্তাহে টেলিযোগাযোগ খাতে সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এরপর সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২ দশমিক ৬১, করপোরেট বন্ড খাতে ১ দশমিক ৬১ ও ব্যাংক খাতে ১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৬৮ শতাংশ কমে ১৩ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৩ হাজার ৪৭৭ পয়েন্ট। সিএসসিএক্স সূচক গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ৮০ শতাংশ কমে ৮ হাজার ১৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৮ হাজার ২৪০ পয়েন্ট।
সিএসইতে গত সপ্তাহে ৫৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যেখানে লেনদেন হয়েছিল ৩৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৩টির, কমেছে ১৪৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৫টির বাজারদর।