ছুটির দিনে মুখর বইমেলায় নেই ‘শিশুপ্রহর’
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
লেখক, পাঠক ও দর্শকদের উপস্থিতিতে ছুটির দিনে জমে উঠেছে বইমেলার প্রাঙ্গণ। মেলার প্রথম তিনদিনে প্রত্যাশা অনুসারে বিক্রি না হলেও প্রকাশকরা শুক্রবার আশায় বুক বাঁধছে।
অন্যদিকে এবারের মেলার শিশু কর্নার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সী শিশুরা স্টল ঘুরে ঘুরে বইয়ের পাতা উল্টে নিজেদের পছন্দের বই খুঁজছে। প্রতিবছর বইমেলায় শিশুপ্রহর থাকলেও করোনার জন্য এ বছর সেটি নেই। এ নিয়ে অনেক অভিভাবকের আক্ষেপ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।
রাজধানীর উত্তরা থেকে চিকিৎসক মুমিন মাহতির ছয় বছরের ছেলেকে নিয়ে মেলায় এসেছেন। এবার শিশুপ্রহর না থাকায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ছেলেকে নিয়ে মেলার আসার উদ্দেশ্য ছিল তার আনন্দ দেখা। কিন্তু এসে দেখি তাদের জন্য কোনও খেলাধুলার ব্যবস্থা নেই। থাকলে অন্য শিশুদের সঙ্গে ছোটাছুটি করে নিজের মতো আনন্দ করতে পারতো।
মিরপুর কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের নাউরিমা এসেছে মায়ের সঙ্গে। তার পছন্দ সিসিমপুরের হালুম-ইকরি মিকরি। কিন্তু এবার তাদের না দেখতে পেরে মন খারাপ করে শিশুচত্বরে ঘুরেছে সে। একথাই জানাচ্ছিলেন নাসিমা হক।
তিনি বলেন, মেলায় আসা মেয়ের জন্য। তবে শিশিমপুর না থাকায় বারবার প্রশ্ন করছে কেন নাই। যদিও করোনার জন্য এ বছর শিশুপ্রহর রাখা হয়নি, কিন্তু তাকে কি আর বোঝানো যায় বলুন। তবে খেলাধুলার ব্যবস্থাটি রাখার দরকার ছিল।
অন্যদিকে বইমেলার প্রথম ছুটির দিন হওয়ায় প্রকাশকরা বিক্রির বেশ আশা করছেন। চন্দ্রবিন্দু প্রকাশনের চৌধুরী ফাহাদ বলেন, ছুটির দিনে প্রতি বছর ভালোই বিক্রি হয়। মেলার প্রথম তিন দিনের চেয়ে আজ বিক্রি তুলনামূলক ভাবে বেশি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেচা বিক্রি বাড়বে কারণ পাঠকদের সমাগম ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উল্লেখ্য,করোনার কারণে শিশুপ্রহর না থাকলেও থাকছে লেখক মঞ্চ, সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের ব্যবস্থা। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছে মোবাইল কোর্ট। মেলায় ৪টি প্রবেশ পথ ও বের হওয়ার জন্য রয়েছে ৩টি পথ।