পাহারা দিয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না: ডিএমপি কমিশনার
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন,শুধু পাহারা দিয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
গতকাল (১৭ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার জানুয়ারি মাসে রাজধানীজুড়ে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সভায় রাজধানীতে ছিনতাই-দস্যুতা ঠেকাতে নজরদারি আরও বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন মোহা. শফিকুল ইসলাম। বিশেষ করে ভোরবেলায় ছিনতাইপ্রবণ এলাকাগুলোয় টহল ও নজরদারি বাড়াতে বলেছেন তিনি।
রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় ঢাকার পুলিশ প্রধান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ যেকোনো দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ডিএমপির সব সদস্যকে সবসময় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ঘটে যাওয়া অপরাধের বিশ্লেষণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী কর্মপন্থা ও কর্মকৌশল সম্পর্কিত নির্দেশনার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের কর্মোদ্দীপনা বাড়াতে প্রতি মাসে ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কার দেন ডিএমপি কমিশনার।
জানুয়ারি মাসের পর্যালোচনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের আটটি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে তেজগাঁও বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হয়েছে মোহাম্মদপুর। আর নয়টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে মতিঝিল বিভাগ। আটটি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে লালবাগ বিভাগ প্রথম হয়েছে।
এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ডিএমপি কার্যালয়ে গঠিত মনিটরিং সেলে মামলা, জিডি ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় রমনা, শাহবাগ, নিউমার্কেট, খিলগাঁও, কোতয়ালী, ক্যান্টনমেন্ট, উত্তরা পূর্ব, বিমানবন্দর ও তুরাগ থানাকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয় ডিএমপির এস্টেট, সদর দপ্তর ও প্রশাসন, ওয়েল ফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স এবং লজিস্টিকস বিভাগকেও।
অনুষ্ঠানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।