যশোরে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
যগোলাম মোস্তফা মুন্না, (যশোর):
যশোর শহরের চোপদারপাড়ায় যুবলীগ কর্মী ইয়াছিন আরাফাত (৩০) খুন হয়েছে। আজ বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে শংকরপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুলের দক্ষিণ পাশে ব্রাদার্স ক্লাব নাম একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের ভেতরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত্বরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
ইয়াছিন চোপদারপাড়া আকবরের মোড় এলাকার মনিরুজ্জামানের ছেলে। নিহতের পিতা মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, তিনি সন্ধ্যার পর মসজিদে ছিলেন। এসময় বাড়ি থেকে ফোন দিয়ে বলা হয় কে বা কারা ইয়াছিনকে কুপিয়েছে। তিনি রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ইয়াছিনের মরদেহ দেখতে পান।
এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, ইয়াছিন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াতো। তার নামে ৫/৬ মামলা আছে। এছাড়া একাধিক অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যার দিকে ইয়াছিন ব্রার্দাস ক্লাবের ভেতরে বসে তাস খেলছিল। সে সময় একদল দুর্বৃত্ত্ব ওই ক্লাবের ভেতরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে স্থানীয়রা যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সালাউদ্দিন বাবর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সূত্রটি জানিয়েছে, এই ঘটনার সাথে চোপদারপাড়ার তোরাব আলীর ছেলে রানা ওরফে সিঙ্গার রানা ওরফে স্বর্ণকার রানা, নাজির শংকরপুরের আইয়ুব আলী মিস্ত্রির ছেলে সুমন ওরফে ইয়াবা সুমন, বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প এলাকার সজিব ওরফে কালো সজিবসহ বেশ কয়েকজন এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইয়াছিনের সাথে তাদের বিরোধ ছিলো।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল জানিয়েছেন, ইয়াছিন যুবলীগের কর্মীছিলো। প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছে বলে তিনি সন্দেহ করেন।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম জানিয়েছেন, শংকরপুর ব্রাদার্স ক্লাবের ভেতরে ইয়াছিনকে কে বা কারা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছি। পুলিশ হত্যাকারীদের আটকে অভিযান চালাচ্ছে।