শিরোনাম

South east bank ad

পঞ্চগড়ে করতোয়া বুকে পেঁয়াজ চাষ

 প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মোঃ লিহাজ উদ্দিন, (পঞ্চগড়):

কখনো ভয়ংকর খরস্রোতা, আবার কখনো শান্ত স্রোতবিহীন নদী করতোয়া। নদীর মাঝখানে পানি, আবার দুইদিকের কিনারে আছে বেশ উঁচু উঁচু ধু ধু বালি চর। এই চরে চাষ হচ্ছে পেয়াজ। এই দৃশ্য পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের করতোয়া নদীর ময়নামতি চরে। পরিশ্রম ও খরচ কম হওয়ায় নদীর চরে বেড়েছে পেঁয়াজ চাষ।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগ কম হওয়ায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন কৃষকরা। আগামী বছরও আবহাওয়া ভালো থাকলে বেশি বেশি পেঁয়াজ চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রোপণ-পরবর্তী পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। নদীতে পেঁয়াজের সবুজ চারাগাছ বাতাসে দোল খাচ্ছে।

চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিজস্ব জমি না থাকায় তারা ফসল চাষাবাদ করতে পারে না। তাই নদীর চরকে ফসল ফলানোর জন্য বেছে নিয়েছে। চাষীরা আরও জানায়, নদীতে পেঁয়াজ চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। বিপরীতে এক বিঘা জমি থেকে পেঁয়াজ বিক্রি হবে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।

অমর আলী নামের এক কৃষক জানান, আমি করতোয়া নদীর চরে তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছি। এতে আমার ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশাকরি ভালো ভাবে পেঁয়াজ তুলতে পারলে ৮০ হাজার টাকা আসবে। ইনতাজ আলী নামের আরেক কৃষক জানান, আমি নদীর চরে সাত বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছি। বিঘা প্রতি আমার ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাফীয়ার রহমান বলেন, এ বছর করতোয়ার চরজুড়ে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ১০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। রোগবালাই না থাকায় পেঁয়াজের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২৫ মেট্রিক টন। চরে যারা পেঁয়াজ আবাদ করেছেন কৃষি বিভাগ নিয়মিত তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: