মা-বাবার অজান্তে বিয়ে করায় অখুশি মেয়ের পরিবার
সঞ্জিব দাস, (পটুয়াখালী):
পটুয়াখালীর গলাচিপায় মা-বাবাকে না জানিয়েই পালিয়ে বিয়ে করায় মেয়ের পরিবার অসন্তুষ্টিতে ভুগছে। মা-বাবার শান্ত শিষ্ট মেয়েটি হঠাৎ উধাও। খোঁজ করতে করতে লোক মারফত জানতে পারেন তাদের মেয়ে পালিয়ে বিবাহ করেছে। আর এতে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে মা-বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের কিসমত হরিদেবপুর গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডের অবিনাশ চন্দ্র দাসের মেয়ে অন্তরা রানী দাস আর বর হচ্ছেন পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের সুনিল শীলের ছেলে সজল শীল।
মেয়ে অন্তরা রানী দাসের বাবা অবিনাশ চন্দ্র দাস জানান, গতকাল (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে প্রতিদিনের মত আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে বাসায় ফিরে আসে নি। পরে লোক মুখে জানতে পারি আমার মেয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুনিল শীলের ছেলে সজল শীলের সাথে ঢাকার মুন্সিগঞ্জে গোধুলী লগ্নে বিবাহ হয়েছে।
আমি ভাবতেও পারি নি আমার মেয়েটাকে এভাবে সজল শীল গোপনে নিয়ে বিবাহ করবে। আমার মেয়ে এসব কিছুই বুঝত না। এ বিষয়ে মেয়ের মা সঞ্জিতা রানী বলেন, আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে সজল শীল নিয়ে বিবাহ করেছে। আমার ঘর থেকে আমার মেয়ে না বুঝে টাকা পয়সা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সুনীল শীলের ছেলে সজল শীলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা একে অপরের আগে থেকেই পরিচিত। সে আমাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিলে আমি তাকে বিবাহ করেছি। এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মনির হোসেন হাওলাদার জানান, আসলেই বিষয়টি দুঃখজনক।