১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হবে রাঙ্গাবালির ইউপি নির্বাচন
সঞ্জিব দাস, (পটুয়াখালী):
১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হবে রাঙ্গাবালির ইউপি নির্বাচন ছিলো সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা। প্রায় ১৯ বছর ধরে আটকে ছিলো পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ও মৌডুবি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
ভোট দেয়ার সুযোগ পায়নি দুই ইউনিয়নের মানুষ। আর এই দীর্ঘ সময় ধরে নির্বাচন না হওয়ায় পিছিয়ে পড়ে এখানকার জনজীবন। রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল মৌডুবি এলাকা। সবশেষ ২০০২ সালে বড়বাইশদিয়ায় নির্বাচন হয়েছিল।
তবে ওই নির্বাচনের আগেই বড়বাইশদিয়া থেকে ভাগ হয়ে মৌডুবি নামে নতুন আরেকটি ইউনিয়ন ঘোষণার দাবি তোলে মৌডুবির মানুষ। বড়বাইশদিয়া ইউপি নির্বাচন শেষ হওয়ার পর সরকারি গেজেট প্রকাশ করে মৌডুবিকে আলাদা ইউনিয়ন করা হয়। এরপর সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা দেখিয়ে একের পর এক মামলা হওয়ায় ওই দুই ইউপিতেই নির্বাচন বন্ধ থাকে।
এরপর সপ্তম ধাপে নির্বাচনের জন্য গত ২৯ ডিসেম্বর দুই ইউনিয়নের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী সাত ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ভোটারদের মাঝে যেন উৎসবের আমেজ, পোস্টার-লিফলেটে ছেয়ে গেছে সব এলাকা।
প্রার্থীদের পক্ষ থেকে চলছে মাইকিং। গণসংযোগ-পথসভা হচ্ছে হাট-বাজারে। গ্রামগঞ্জে গিয়ে বাড়ি বাড়ি ভোট চাইছেন প্রার্থী ও কর্মীরা।সরগরম ভোটের মাঠ। প্রচার-প্রচারণায় মুখর এলাকা। নির্ঘুম রাত কাটছে প্রার্থীদের। ভোটের আশায় ঘুরছেন ঘরে ঘরে, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি, চাইছেন ভোট।তবে ভোটারদের অভিমত, শুধু মুখে প্রতিশ্রতিতে বিশ্বাসী নয় তারা, এলাকার উন্নয়ন, পরিচ্ছন্ন এবং সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়তে যে প্রার্থী ভূমিকা রাখতে পারবেন তাকেই ভোট দিবেন তারা।
এবারের এই নির্বাচনে দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন লড়ছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত দুইজন, ইসলামি আন্দোলনের দুইজন, বিদ্রোহী দুইজন ও দুইজন স্বতন্ত্র। এছাড়াও, এই দুই ইউনিয়নে মোট ভোটার ২০ হাজার ৬০৬ জন। এর মধ্যে বড়বাইশদিয়া ১৩ হাজার ২৮৬ জন এবং মৌডুবি ৭ হাজার ৩২০ জন।
তবে নির্বাচনী প্রচারে আছে প্রার্থীদের নানা অভিযোগ। কর্মী-সমর্থকদের হুমকি ধামকি থেকে শুরু করে চলছে পাল্টাপাল্টি কথার লড়াই। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান সোহাগ হাওলাদার বলছেন, নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হবে। এনিয়ে কোন সংশয় নেই।