বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতী পূঁজা অনুষ্ঠিত
মেহের মামুন, (গোপালগঞ্জ):
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের বাজার রোড এলাকার তিন বছরের শিশু মিঠাই সাহা। এবছর তার বাসায় হয়েছে শুভ্রতার প্রতীক, বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতী পূঁজা।
আর এ বছরই শিক্ষা জীবন শুরু করতে দেবীর পায়ে অঞ্জলী দিয়ে নিয়েছে হাতে খড়ি। যাতে দেবী সরস্বতির কৃপায় জ্ঞান ও বুদ্ধি সাথে সাথে যাতে বিদ্যা লাভ হয়।
এ বছর নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে গোপালগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতি পূঁজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার বাসা-বাড়ীতে দেবী সরস্বতীর আরাধনা করা হয়। করোনার কারনে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পরও বেশ কিছু কলেজ ও স্কুলে সরস্বতী পূজার আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা। পঞ্জিকা মতে মাঘ মাসের শুক্লাপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পূঁজার আনুষ্ঠিকতা।
কিছুক্ষণ পর পর ফুল আর বেলপাতার সাথে মন্ত্র উচ্চারণ করে দেবীর পায়ে দেয়া হয় অঞ্জলী। এসময় উলুধ্বনি ও ঢাকের বাজনায় মুখোরিত হয়ে ওঠে প্রতিটি পূঁজা মন্ডপ। এরপর জ্ঞান লাভের আশায় জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন ভক্তবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা।
পূঁজায় নানা রকমের ফল, মিষ্টি, নৈবদ্য সাজিয়ে দেবীকে অর্পণ করা হয়। পরে ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
হাতে খড়ি নিয়ে শিক্ষা জীবন শুরু করা মিঠাই সাহার মা সম্পা সাহা বলেন, আমার মেয়ের তিন বছর পূর্ণ হয়েছে। এখন মেয়েকে লেখাপাড়ায় মনোযোগ দিতে চাই। সেজন্য সরস্বতী পূঁজার আয়োজন করে মেয়ের হাতে খড়ি দিয়েছে। যাতে দেবীর কৃপায় আমার মেয়ে বিদ্যা, জ্ঞান ও বুদ্ধি লাভ করতে পারে।
শিক্ষার্থী সকাল সাহা বলেন, আমি দেবীর পায়ে অঞ্জলী দিয়েছি। যাতে দেবীর আশির্বাদ লাভ হয় এবং আমি যেন পড়ালেখায় ভাল করতে পারি।
পূঁজারী পলাশ চক্রবর্তী বলেন, দেবী সরস্বতী হলেন বিদ্যা, জ্ঞান ও সুরের দেবী। তিনি শুভ্রতারও প্রতীক। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর চরণে প্রনাম জানায় ভক্তবৃন্দ। বিশ্ব মহামারী করোনাসহ সকল অন্যায় অনাচার দূর করবেন দেবী।