২০ বছর চালকের ছদ্মবেশে ফাঁসির আসামি
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আলোচিত ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ বছর ধরে পলাতক আসামি জসিম উদ্দিনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এত বছর ধরে তিনি চালকের ছদ্মবেশে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার নিমতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আজ শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।
তিনি বলেন, ২০০২ সালের ৩০ মার্চ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জানে আলমকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে মো. তজবিরুল আলম বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মধ্যে জসিম উদ্দিন অন্যতম প্রধান আসামি। ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই এ মামলায় আদালত ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিলে জসিম উদ্দিনসহ মোট ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুই জনকে যাবজ্জীবন এবং বাকিদের খালাস দেওয়া হয়।
র্যাব কর্মকর্তা মো. নুরুল আবছার বলেন, জানে আলমকে হত্যার পরপরই জসিম উদ্দিন নগরীর কালুরঘাট এলাকায় বসবাস করে তিন বছর ধরে গাড়ি চালান। লোহাগাড়া নিজের পৈতৃক আবাস ছেড়ে এখানেই বসবাস শুরু করেন। একপর্যায়ে বোয়ালখালীতে বিয়েও করেন। এরপর নগরীর ডেবারপাড় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন ও গাড়ি চালক হিসেবে পেশা অব্যাহত রাখেন। সেখান থেকে চলে এসে ফকিরহাটে বসবাস করেন সাত বছর। এই সময়েও তিনি গাড়ি চালক হিসেবে কাজ করেন। তারপর নগরীর বন্দর এলাকায় বাসা নিয়ে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত বসবাস করে আসছিলেন। সবশেষ তিনি ট্রাকের চালক হিসেবে কাজ করতেন।
তিনি বলেন, ২০ বছর জসিম ট্রাক চালকে পেশায় নিজেকে আত্মগোপন করে রেখেছিল। ট্রাক চালকের লাইসেন্স ও অন্যান্য কাগজপত্র তৈরিতে তিনি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করতেন। জসিম তার পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে। যার কারণে তাকে কোনোভাবেই ব্যবসায়ী জানে আলমের হত্যা মামলার আসামি বলে শনাক্ত করা যাচ্ছিল না।