কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের হাতে ৫০ নেতানেত্রীর জীবনবৃত্তান্ত
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া):
বগুড়ায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পদক পদ পেতে বিভিন্ন পর্যায়ের এর নারীসহ অর্ধশতাধিক নেতা-নেত্রী তাদের জীবনবৃত্তান্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে জমা দিয়েছেন।
গতকাল (০২ ফেব্রুয়ারি) বুধবার দিনভর বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে ‘জীবন-বৃত্তান্ত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়ায় পাঁচ বছর আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গত ২১ জানুয়ারি বিলুপ্ত করা হয়। ওই দিন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের বগুড়া জেলার সম্ভাব্য নতুন কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে ইচ্ছুকদের কাছ থেকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জীবন-বৃত্তান্ত চাওয়া হয়।
তাতে বলা হয়, জীবনবৃত্তান্তগুলো সংগ্রহের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঠাগার সম্পাদক সৈয়দ ইমাম বাকের, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক শেখ সাঈদ আনোয়ার সিজার এবং সহ-সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাদ্দামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তারা বগুড়ায় স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে সেগুলো সংগ্রহ করবেন।
জীবনবৃত্তান্ত প্রদানকারীরা নেতাকর্মীরা হলেন, রাকিব হাসান শাওন, আরিফুল আলম শাওন, মিথিলেশ প্রসাদ, সাজ্জাদ আলম পারভেজ, সজল ঘোষ, তোফায়েল আহমেদ তোহা, মিনহাজুল ইসলাম সজল, মুকুল ইসলাম, সজীব সাহা, মাহফুজ ইসলাম, মাহিদুল খান জয়, জেমি পোদ্দার, কাওছার আহম্মেদ জয়, জাহানুর রহমান জনি, জাহিদ হাসান, জিহাদুল ইসলাম জিহাদ, আতিকুর রহমান, ফজলে রাব্বী, সাদ্দাম হোসেন, রাকিব হাসান, তৌহিদ আহম্মেদ, হাবিব হাসান, আহসান হাবিব, শরিফুল ইসলাম বাবু, আবু নাঈম, কাকলি আক্তার, নাসের হোসেন, আহসান গালিব প্লাবন, সোয়াইব হোসেন, নিলয় হাসান, ইকন আহম্মেদ আল-আমিন পাপ্পু, আসিফ শেখ, সবুজ বিশ্বাস, সেভিট মন্ডল, রাশেদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ, আবু ইউসুফ, ওহিদুর রহমান, মিল্লাত হোসেন, সোয়েব ইসলাম, সিদ্ধার্থ সাহা, সৈকত হাসান, অরিত্র রহমান, সাইফুল ইসলাম রাব্বী হোসেন, রাফি শেখ ও হৃদয় শেখ।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের পরামর্শ দিয়ে বলেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, ভাল গুণ আছে এবং তৃণমুল পর্যায়ে যাদের পরিচিতি আছে তাদেরই সুযোগ দেওয়া উচিত।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিকূলতা এবং করোনা মহামারীর কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। তবে আশা করি এবার দ্রুত সময়ের মধ্যেই নতুন কমিটি গঠিত হবে।’
কতদিনের মধ্যে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব আসছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটির পাঠাগার সম্পাদক ও বগুড়ায় সংগঠনটির পুনর্গঠনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ ইমাম বাকের বলেন, ‘আমরা সিভিগুলো ঢাকায় আমাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দেব। সেখানে যাচাই-বাছাইয়ের পর তারা সেগুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দিবেন।’