শেরপুরে কলেজ ভবনজুড়েই মৌমাছির চাক
সাঈদ আহম্মেদ সাবাব, (শেরপুর):
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে সরিষার আবাদ বেশী হয়ে থাকে। আর সরিষার আবাদ বেশী হওয়ায় এ মওসুমে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহের জন্য অধিকহারে এ এলাকায় অবস্থান করে থাকে।
প্রতিবছর সরিষার আবাদ বাড়তে থাকায় মৌমাছির সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। তবে সরিষার আবাদ শেষে মাছিগুলোও চলে যায় অন্যত্র।
এ অবস্থায় ২০১৮ সাল থেকে মৌমাছির দল নকলার চন্দ্রকোনা ডিগ্রি কলেজ ভবনকে তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছে। এখানে গড়ে তুলেছে অনেক মৌচাক।
১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজের চারতলা ভবনটি নির্মান করা হয় ২০১৮ সালে। নতুন এ ভবন নির্মিত হওয়ার পর থেকেই শীতের শুরুতেই মৌমাছিরা মৌচাক করে এ কলেজ ভবনে। আর কিছুদিন থাকার পর অন্যত্র চলে যায় মাছিগুলো।
প্রথম দিকে মৌচাকের সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে এ কলেজে মৌচাকের সংখ্যা ৭৫ এ দাড়িয়েছে। আর এসব মৌচাকে শিক্ষক-ছাত্র কেউ বিরক্ত করে না। তাই মৌমাছিও কাউকে কামড় দেয় না। ফলে সহঅবস্থানে থেকে নিরাপদেই চলছে কলেজের কার্যক্রম।
এসব চাক দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে আসছে মানুষ। অনেকেই অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে আর অনুভব করে কিভাবে মৌমাছি আর ছাত্র শিক্ষক সহাবস্থান করে একসাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে?
ওই এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ী ছাদ বা গাছের ডালেও মৌমাছির দল মৌচাক করে থাকে। এসব চাক থেকে মধু সংগ্রহের পর বিক্রি করে অনেকেই জীবিকাও নির্বাহ করছে।
চন্দ্রকোনা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: রফিকুল ইসলাম জানান, এদিকে চন্দ্র কোনা ডিগ্রি কলেজের মৌচাক থেকে প্রথমে মানুষ মধু সংগ্রহ করে খাটি মধুর স্বাদ নিতো।
এবার কলেজ কর্তৃপক্ষ ৫২ হাজার টাকার মধূ বিক্রি করেছে। ফলে এবার কলেজের বাড়তি আয়েরও যোগান দিয়েছে মৌচাকগুলো।
নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: কামরুজ্জামান গেন্দু জানান, এ এলাকায় সরিষার আবাদ বেড়ে যাওয়ায়, মৌমাছির দল এসে বিভিন্ন স্থান মৌচাক করায় একদিকে এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্য দিকে মানুষের বাড়তি আয়ও হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবী মৌমাছি এ এলাকার সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি করছে তেমনি বাড়তি আয়ের উপায় সৃষ্টি করেছে। তাই দিন মৌমাছির সংখ্যা বৃদ্ধি পাক, এ প্রত্যাশা সবারই।