শাবির আন্দোলন 'ক্রীড়নক চক্রের আগ্রাসী আন্দোলন'
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
মাদানী কাফেলা বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ শাবিপ্রবিতে চলমান আন্দোলনকে 'ক্রীড়নক চক্রের আগ্রাসী আন্দোলন' বলে মন্তব্য করেছেন। একটি ঐতিহ্যবাহীজনপদে প্রতিষ্ঠিত উচ্চাশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কলুষিত করারহীনচক্রান্ত বলে আমরা মনে করি।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে (২৫ জানুয়ারি) সংবাদপত্রে প্রদত্ত একবিবৃতিতে মাদানী কাফেলা বাংলাদেশের পরামর্শক পর্ষদের সদস্য শায়খুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল জামিয়া সিলেটের প্রিন্সিপাল হাফিজ মাওলানা সৈয়দ সালিম কাসেমী, জামিয়া হিদায়াতুল ইসলামের প্রিন্সিপাল মুফতি শায়খ মুতিউর রহমান, মাদানী কাফেলার সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন নগরী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী উপরোল্লিখিত মন্তব্য করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা ভিসির পক্ষের লোক নই।
তবে এটা স্পষ্ট যে, শাবিপ্রবির চলমান ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্রের গতকাল মঙ্গলবারের বক্তব্য শুনে ভিসির উপর আরোপিত যেসব অভিযোগ জানা গেলো এসব শুনে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মিডিয়ায় প্রকাশিত ছাত্র প্রতিনিধিদের মন্তব্যে অ্যাধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেটের ধর্মপ্রাণ জনসাধারণ তাদের নিম্নচিন্তার প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন। তাই আমরাও কতিপয় শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা-ধ্বংসযজ্ঞের পথপরিহার করার আহবান জানাচ্ছি। 'ভিসি তালেবানী স্টাইলে বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছেন। মুক্ত চিন্তায় বাধা প্রদান করছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের অবাধ চলাফেরায় তিনি প্রতিবন্ধক। ছাত্র-ছাত্রীদের আড্ডাস্থল ছোট ছোট মামার দোকান উচ্ছেদ করেছেন।' গ্রন্থাগারে অধিক রাত পর্যন্ত অধ্যয়নের নামে নষ্টামি বন্ধ করেছেন। এসব বক্তব্য শুনার পরে সিলেটের সচেতন জনগন ছাত্রদের আন্দোলনকে অযৌক্তিক মনে করছেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়,
আবেগ নয়,বিবেক দিয়ে বিষয়টি ভাবা উচিত। শাহ জালাল রহঃ এর নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়কে অশ্লীলতা মুক্ত রাখতে আলেম উলামা সহ ধর্মপ্রাণ জনতার ভুমিকা রাখা জরুরী। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটবাসীর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে যেমন ছিলো বিভিন্নমূখি ষড়যন্ত্র তেমনি পরেও থেমে থাকেনি ষড়যন্ত্রের ধারা। বর্তমানেও এই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় চলছে বিভিন্ন কর্মসূচী।
রুহুল আমীন নগরী প্রদত্ত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের যেকোন ন্যায় ও যুক্তিসংগত আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম এবং আছি। তবে ধর্মীয় ও সামাজিক বিধিনিষেধ,নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত কোন দাবির সাথে একমত হতে পারিনা। এদেশে শিক্ষার্থীদের দিয়ে রাজনৈতিক নোংরামো অতীতে হয়েছে-এখনো হচ্ছে।
সরল-প্রাণ ছাত্রদের দোষ দিয়ে লাভ কি? বর্তমানে যে ছাত্র আন্দোলন চলছে তার মূল কারণ আমরা সকলেই হয়তো জানিনা। যারা আন্দোলন করছেন তারাই ক’জন জানেন যে, তারা কেন এবং কার জন্য আন্দোলন করছেন?
এ বিশ্ববিদ্যালয় হলো হযরত শাহজালাল (র.)-এর নামে এবং সিলেটের মানুষ নিজেদের মূল্যবোধ ভেঙে একেবারে পশ্চিমাদের মতো হতে পারে না।
মেয়েদের নিরাপত্তা বিধানের জন্যই রাতে হোস্টেল থেকে বের হওয়া ঠিক নয়। এমন নিয়মকে যারা 'তালেবানী' আইন বলে আন্দোলনকে ভিন্নখ্যাতে প্রবাহিত করতে চান তাদের উদ্দেশ্য যে মন্দ তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
তাই কোন প্রকার মন্দ উদ্দেশ্য হাসিল করতে সিলেটের তৌহিদী জনতা কাউকে সুযোগ দিতে পারেনা
তাই আমরা মাদানী কাফেলা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অবিলম্বে শাবিপ্রবিতে চলমান অনশন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। মুক্তচিন্তার নামে কোনপ্রকার নষ্টামি শাহজালালের উত্তরসুরীরা মেনেনিতে পারেনা।