শিরোনাম

South east bank ad

বগুড়ায় সংক্রমণ বাড়লেও অনীহা মাস্কে

 প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া):

রেডজোন বগুড়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, হোটেল-রেস্তোরা, বাস এমন কী জনবহুল এলাকায় মাস্ক ছাড়াই চলাচল করছে মানুষ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনীহা বিরাজ করছে।

সংক্রমণ বাড়লেও ঘরের বাইরে প্রাত্যহিক কাজকর্মে রাস্তায় বের হওয়াদের মধ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।

মাস্ক ছাড়াই রাস্তা, বাজার, শপিংমলসহ সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন মানুষ। এদিকে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে সরকারি ও বেসরকারি তিন হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন চিকিৎসা।

আজ (২৪ জানুয়ারি) সোমবার বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, রাস্তাঘাটে চলাচলকারী অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। দু-একজনের মাস্ক থাকলেও সেগুলো থুতনিতে ঝুলতে দেখা যায়। আবার অনেকের কাছে মাস্কের খোঁজ করলে কেউ বলেছেন বাড়িতে আছে, আবার কেউ বলেছেন পকেটে রেখেছেন।

শহরের জলেশ্বরীতলার ভাড়া নিয়ে এসেছেন শিবগঞ্জ উপজেলার লস্করপুর গ্রামের রিকশাচালক মোকছেদ আলী (৫২)। মুখে মাস্ক নেই। জিজ্ঞেস করলে তিনি পকেট থেকে মাস্ক বের করে দেখান। বলেন, ‘পড়লে দম বন্ধ হয়ে আসে। তাই পকেটে রেখেছি।’

শহরের ফলপট্টি এলাকার দুলালা মিয়া (৪৫) নামের আরেক পথচারী বিনা মাস্কে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরতে অস্বস্তি লাগে।’ করোনার বিষয়ে বলেন, ‘আমার আশপাশে কারও করোনা হয়নি। আর করোনা ধরলে, মাস্ক পরলেও ধরবে।’

নিউমার্কেটের ক্রেতা আল আমিন (৩৪) বলেন, ‘করোনা বাড়লেও এখন আগের মতো আতঙ্ক নেই। তাই আর মাস্ক পরি না।’

সোমবার মহাস্থান বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায়, বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে চলাচলকারী বাস-ট্রাকের যাত্রীদের অধিকাংশই পরেননি মাস্ক। এ সময় চলাচলকারী আন্ত:জেলা পরিবহনগুলোতে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।

এদিকে গতকাল বগুড়া জেলায় আরও ১৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির শুরু থেকে জেলা-উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। প্রতিদিন জরিমানা আদায়সহ পথচারীদের মাঝে মাস্কও বিতরণ করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে কুলসুম সম্পা বলেন, ‘যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং এবং লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া নিয়মিত পরিচালনা করা হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।’

বগুড়ার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু বলেন, মানুষ সচেতন না হলে প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মানতে বাধ্য করা দরকার। তিনি বলেন, অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত যদি জনসমাগম থেকে বিরত করা যায় তাহলে সংক্রমণ অনেকটায় রোধ করা যাবে।

বগুড়র সিভিল সার্জন শফিউল আজম বলেন, জনগণ যদি মাস্ক ব্যবহার না করেন, সামাজিক দূরত্ব মেনটেন না করেন তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। তখন কিন্তু হসপিটালে জায়গা দেওয়া আমাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে যাবে।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, করোনা প্রতিরোধে সম্প্রতি ১১ দফা স্বাস্থ্য বিধি ঘোষণার পর থেকেই তারা জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন। স্বাস্থ্য বিধি মানতে অনীহা কাটাতে প্রচারণার পাশাপাশি জেলাজুড়ে চালানো হচ্ছে ভ্রাম্যমান আদালত। তিনি বলেন, আমরা জনসাধারণকে মাস্ক পড়ানোর জন্য এবং স্বাস্থ্য বিধি মানাতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: