বাগেরহাটে গভীর রাতে সংখ্যালঘুর জমিতে ঘর নির্মান
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের চিতলমারীতে জমি দখলের জন্য গভীর রাতে সংখ্যালঘুর জমিতে ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। আদালতে চলমান মামলা থাকার পরও শনিবার গভীর রাতে চিতলমারী উপজেলা সদরের কুরমুনি গ্রামের লিটন বড়ালের জমিতে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী লিটন বড়াল জানান, চিতলমারী উপজেলার কুরমনি মৌজায় এসএ ৩৬ নং খতিয়ানে ৫৬,৫৭,৬৩ নং দাগে তার ভোগ দখলীয় জমি একটি মিথ্যা আমমোক্তার নামার বরাত দিয়ে দখলের চেষ্টা করছে একই এলাকার নাসিমা বেগম ও আব্দুল লতিফ খান। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু শনিবার রাতের আধাঁরে নাসিমা বেগম একটি অস্থায়ী ঘর নির্মান করে জমি দখলের চেষ্টা করেছে। প্রতিবাদ করায় তাকে নানা ভাবে হুমকী দিচ্ছে। বিষয়টি তিনি চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।
লিটন বড়াল আরো জানান, ইতিপুর্বেও তার রোপন করা ধান ও ঘেরে ছাড়া মাছ তারা ধরে নিয়ে যায়। এবিষয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিক বার শালিশ বৈঠক করা হলেও প্রতিপক্ষরা কোন কিছুই মানতে নারাজ।
নাসিমা বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই ঘরটি অনেক আগে থেকেই ছিল। জমি দখলের কোন ঘটনা ঘটেনি।
এবিষয়ে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানার পর উভয় পক্ষকে শান্তিশৃংখলা রক্ষার জন্য বলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা আগামী সোমবার শালিশ বৈঠকে বসে উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা জানান, মৌখিক অভিযোগের পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে শান্তিশৃংখলা বজায় রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগামী সোমবার শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।