নাটোরে যুবতীকে গণধর্ষণ, আটক
মো: রবিউল ইসলাম, (নাটোর):
নাটোরে খালার বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক যুবতীকে গণধষর্ণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৫ ধর্ষককে আটক ও ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত রাতে সদর উপজেলার ছাতনী গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ধর্ষিতা যুবতী নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খোরশেদ আলমের মেয়ে।
আটকৃতরা হলো সদর উপজেলার ছাতনী দিয়ার গ্রামের এরশাদের ছেলে মোহা শরিফুল ইসলাম(২২), মো আবির মন্ডলে ছেলে মো: লিটন (২৩), মিনু শেখের ছেলে নয়ন শেখ (২৫) দিলদারের ছেলে রাজু (২৫) ও মকছেদের ছেলে কাজল (২৫)।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনছুর রহমান ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে মায়ের ওপর অভিমান করে বাড়ী থেকে বের হয়ে খালার বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয় ওই যুবতী। পথে সদর উপজেলার ছাতনী দিয়ার গ্রামে পৌঁছালে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে স্থানীয় এক যুবক শহিদুল ইসলামের সাথে পরিচয় হয়।
এ সময় শহিদুল ওই যুবতীকে তার খালার বাড়ীতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে দুজনে পায়ে হেঁটে রওনা দেয়। পথে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে যুবক তাদের পিছু নেয়। পরে ছাতনী ভাটপাড়া শ্মশান ঘাট এলাকায় পৌঁছালে বখাটে যুবকরা শহিদুলকে ভয় দেখিয়ে যুবতীকে ছিনিয়ে নেয়। তারা পাশের একটি লেবু বাগানে নিয়ে গিয়ে যুবতীকে গণধর্ষণ করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানকালে ঘটনাস্থল থেকে ৫ ধর্ষণকারীকে আটক করে এবং ভিকটিম যুবতীকে উদ্ধার করে। এ সময় আরো তিনজন ধর্ষণকারী পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এঘটনায় আজ শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। তিনি বলেন, অতি দ্রুত পলাত অপর তিন বখাটেকে আটক করা হবে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কাল মনিবার তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।