ইজতেমায় লাখো মুসল্লির জুম্মার নামাজ আদায়
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া):
বগুড়ায় শহরতলীর ঝোপগাড়িতে আঞ্চলিক ইজতেমার শুক্রবার জুম্মার নামাজে লাখো মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন। নয় একর আয়তনের মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মহাসড়ক ও আশপাশের বিভিন্ন রাস্তা, মাঠ, বাসাবাড়ি এবং খোলা স্থানে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জুমার নামাজ আদায়ের জন্য জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা যানবাহন করে ও হেঁটে ইজতেমা প্রাঙ্গনে পৌঁছেছেন। বেলা ১১টার মধ্যেই ইজতেমার মাঠ মুসল্লিতে ভরে যায়। জুমার নামাজে ইমামতি করেন কাকরাইলের মুরব্বি আব্দুল্লাহ সাহেব।
ইজতেমা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাহ আলম বলেন, ‘নামাজে লক্ষাধিক মানুষ অংশ নিয়েছেন বলে আমরা ধারণা করছি। তবে আরও বেশিও হতে পারে’। কিন্তু করোনা ও ওমিক্রনের জন্য গতবারের তুলনায় মুসল্লি কম এসেছে। তিনি বলেন, ইজতেমায় ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মরক্কোসহ বিভিন্ন দেশের বিদেশি মেহমানসহ লক্ষাধিক স্থানীয় মেহমান এসেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ফজরের নামাজ শেষে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে বগুড়ার ঝোপগাড়িতে মারকাজ মসজিদ প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী এ ইজতেমা শুরু হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিন দিনব্যাপী এই আঞ্চলিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আগামীকাল (০৮ জানুয়ারি) শনিবার বাদ যোহর নামাজের আগে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বগুড়ার আঞ্চলিক ইজতেমা শেষ হবে। মোনাজাত পরিচালনা করবেন সারা বাংলাদেশের সুরাহ সৈয়দ ওয়াসিফুল্লাহ। আয়োজকরা আশা করছেন, ৩ লক্ষাধিক মানুষ আখেরি মোনাজাতে অংশ নেবেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোতাহার হোসেন জানান, ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাত-দিন ভাগ করে পালাক্রমে তারা দায়িত্ব পালন করছেন।
বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম সেবা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। সেই সঙ্গে ইজতেমা মাঠে পুলিশ, ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশপাশি তবলিগ জামায়াতের নিজস্ব সদস্যরাও পাহারার দায়িত্ব পালন করছেন।