শিরোনাম

South east bank ad

ঠাণ্ডায় অপেক্ষার পরও মেলেনি টিকা ফেরত গেল ৫০০ শিক্ষার্থী

 প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সীমান্ত সাথী, (রংপুর):

রংপুরের বদরগঞ্জে শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসুচিতে চরম অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

কনকনে ঠাণ্ডায় দিনভর দাঁড়িয়ে অপেক্ষার পর ফেরত যেতে হয়েছে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীকে। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। আজ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের ভেতর স্থাপিত টিকাদান কেন্দ্রে এ ভোগান্তির শিকার হন শিক্ষার্থীরা।

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সুত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে অবস্থিত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে স্থাপন করা হয় শিক্ষার্থীদের টিকাদান কেন্দ্র। প্রতিদিন সেখানে দুটি করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান করার কার্যক্রম চলছিল। বৃহস্পতিবার ছিল উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের আশরাফগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও দামোদরপুর ইউনিয়নের গোপালপুর শেখেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম।

ওইদিন এক হাজার ২২৮জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করা হয়। সে হিসেবে আগেই চাহিদা পাঠানো হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরশাদ আলীকে। ওই দুটি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা দূর থেকে কনকনে ঠাণ্ডায় উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার টিকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত হন। কিন্তু এতে মাত্র ৬০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার পর টিকা শেষ হয়ে যায়। পরে দিনভর ঠাণ্ডায় সেখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন আরো ৬২৮ শিক্ষার্থী। এসময় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আরো ১০০ টিকা সরবরাহ করা হয়। কিন্ত সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫০০ শিক্ষার্থী অপেক্ষার পর টিকা নিতে না পেয়ে বাড়ি ফেরত যায়।

আশরাফগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফসানা ফিহা ও মেফতাউল জান্নাত অভিযোগ করে বলেন, “সকাল ৯টায় প্রচণ্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে টিকাদান কেন্দ্রে এসে উপস্থিত হই। কিন্তু টিকা না দিয়ে আমাদের ফেরত দেয়। অনেকেই সারাদিন না খেয়ে টিকা নেওয়ার জন্য ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল। টিকা দিতে পারবে না আগেই জানানো হলে আমরা বাড়ি চলে যেতাম।”

উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আবু সাইদ মো. আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, “প্রতিদিনের হিসেব অনুযায়ি আগেই চাহিদা দেওয়া হয়। সে হিসেব আজ (বৃহস্পতিবার) ১২২৮জন শিক্ষার্থীকে টিকা নিতে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় বহু শিক্ষার্থীকে ফেরত দিতে হয়েছে।”

গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাবের আলী ও আশরাফগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান বলেন, “দূর-দূরান্ত থেকে খবর দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের টিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কিন্তু চরম খাম-খেয়ালী ও অব্যবস্থাপনার কারণে বহু শিক্ষার্থী টিকা নিতে পারেনি। সারাদিন ঠাণ্ডায় দাঁড়িয়ে থেকে এসব কোমলমতি শিক্ষার্থী ভোগান্তির শিকার হয়েছে।”

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার আরশাদ আলী জানান, “ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটা হয়েছে। পরে রংপুর থেকে টিকা সংগ্রহ করে ওই কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কিন্তু ততক্ষনে অনেক শিক্ষা ফেরত চলে যায়। বিষয়টি দুঃখজনক।”

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: