শিরোনাম

South east bank ad

দৌলতখান টু আলেকজান্ডা নৌ-রুটে চলছে রাকিব দৌড়াত্ব

 প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মেহেদী হাসান শরীফ, (নিজস্ব প্রতিনিধি)

দৌলতখান টু আলেকজান্ডার নৌ-রুটে যাত্রীদের জিম্মি করে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত লঞ্চভাড়া। এমনকি যাত্রীদের অন্য লঞ্চগুলোতে উঠতে দেয়া হচ্ছে না। রাকিব সিন্ডিকেট গত তিন দিন বন্ধ করে রেখেছেএ রুটে চলাচল কারি যাএীবাহি লঞ্চ। লঞ্চগুলোকে নির্ধারিত সময়ের পূর্বে ঘাট ত্যাগ করতে বিভিন্নভাবে বাধ্য করা হচ্ছে।

এমন অভিযোগ দৌলতখান টু আলেকজান্ডার নৌ-রুটে চলাচলকারী এমভি রুহা রাদিদ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আলেকজান্ডারের প্রভাবশালী লঞ্চ মালিক রাকিবের দৌড়াত্বে দিশেহারা এ রুটের যাত্রীরা। নিজ ইচ্ছায় পরিচালনা করছে ঘাট, তোয়াক্কা করছে না সরকারি রুটিন ও টাইম-টেবিল। অন্য লঞ্চকে নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘাট ত্যাগে বাধ্য করা এবং যাত্রী উঠতে বাধা দেয়া প্রতিদিনের ঘটনা। ক্যাডার দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং অন্য লঞ্চের স্টাফদের মারধর করা হচ্ছে। বিলুপ্ত ঢাকা মহানগর যুগলীগ যুগ্ন-সম্পাদ পদধারী এক নেতার আত্মীয় পরিচয়ে দাপট রাকিবের। প্রশাসনকে দেখাচ্ছে বৃদ্ধাঙ্গুলি। প্রতিদিন শতশত যাত্রী এ রুটে রাকিব সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হচ্ছে।

প্রতিকার চেয়ে বাংলাদেশ আভ্যান্তরিণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ, ভোলা ও লক্ষিপুর জেলা প্রশাসক, ভোলা ও লক্ষিপুর পুলিশ সুপার, কোস্টগার্ড দক্ষিন জোন, র‍্যাব -১১, উপজেলা নির্বাহি অফিসার রামগতি, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রামগতি সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছে মেসার্স সুগন্ধা নেভিগেশন্স কোং। লঞ্চ ঘাটে ভিড়লে বাদিং ২০০ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও রাকিব প্রতি লঞ্চ থেকে ২,০০০ টাকা করে আদায় করছে। ঘাট ইজারাদার ও এমভি- রুহা রাদিদ লঞ্চের মালিক রাকিব নিজে হওয়ার কারণে এ রুটে চলাচলকারী যাএীদের সে জিন্মি করে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক যুবলীগ নেতার আত্মীয় পরিচয়টি সামনে এনে প্রভাব বিস্তার করছে রাকিব।

এ রুটে চলাচলকারী যােত্রীরা অভিযোগ করছেন ছোট একটি ভ্যাগ নিয়ে আলেকজান্ডার ঘাট দিয়ে আসতে হলে ইজারাদারকে দিতে হয় ২/৩ শত টাকা যা যাত্রীরা নিজেই হাতে করে বহন করছে, অথছ টাকা দিতে হয় তাদের। নৈরাজ্য চরমে পৌচেছে রাকিব সিন্ডিকেটের। টাকা কম দিলে যাত্রীদের ব্যাগ নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ এখন নিত্যদিনের ঘটনা।

মেসার্স মোহনা শিপিং লাইন্স এর ম্যানেজার বলছেন ইজারাদার ও লঞ্চ মালিক আলেকজান্ডার ঘাটটিকে নিজেদের পৈত্রীক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে। ঢাকা দক্ষিণের এক সাবেক যুবলীগ নেতার আত্মীয় পরিচয় ও তার প্রভাব খাটিয়ে রাকিব দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলেছে। অন্য লঞ্চগুলো থেকে যাত্রী প্রতি ৫০ টাকা ভাড়া বেশি আদায় করছে রুহা -রাদিদ লঞ্চমালিক ও ঘাট ইজারাদার রাকিব।

এ ব্যাপারে রুহা -রাদিদ লঞ্চ মালিক এর সাথে কথা হলে তিন জানান তিনি আলেকজান্ডার ঘাট ইজারাদার নন, তার লঞ্চ ব্যবসার বয়স একমাসেরও কম, তিনি ভাড়া বেশি নেন না, দৌলতখান ঘাটে তার লঞ্চ ভিড়লে ০৪-০১-২০২২ তারিখ লঞ্চের লোকজনকে মারধর করা হয়। তিনি বিআইডব্লিওটিএ-তে অভিযোগ দাখিল করেছেন।

রামগতি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার সাথে কথা বললে তিনি জানান, তিনি লিখিত কোন অভিযোগ পাননি। উপ-পরিচালক চাঁদপুর নদীবন্দর কায়সারুল ইসলাম বলছেন তিনি কোন অভিযোগ পাননি, তাছাড়া এ ঘাটটি ভোলা নদী বন্দরের আয়াত্তে। ওখানে খবর নিলে বিস্তারিত জানা যাবে। বিষয়টি নিয়ে হেড অফিসে একাধিকবার বসেও মিমাংশা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন আমি নিজেও মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপক্ষকে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেছি।

সহকারি পরিচালক বিআইডব্লিওটি, ভোলা, শহিদুল ইসলাম বলছেন, তিনি লিখিত কোন অভিযোগ পাননি, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবেন। দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের জন্য নিরাপদ রুট সময়ের দাবি, বন্ধ করা হউক সব ধরনের হয়রানি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: