শিরোনাম

South east bank ad

বরগুনায় কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে বাবা ছেলে গ্রেফতার

 প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা):

বরগুনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে আরিফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বরগুনা পৌরসভা পশ্চিম বরগুনার ধর্ষণকারীর নুরুল ইসলামের ঘরে গত পাঁচ মাস পূর্বে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি পাঁচ মাস পরে ভুক্তভোগী তার পরিবারকে জানালে কিশোরীর মা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মাধ্যমে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে তিনি বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

পরে বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে, এম, তারিকুল ইসলাম বিষয়টি আমলে নিয়ে একটি টিম পাঠিয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথমে নুর ইসলামকে থানায় আটক করা হয়। এর আধা ঘন্টা পরে তার ছেলে আরিফকেও আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, আমার মেয়ের বাবা নেই, আমি তরকারি বিক্রি করে রোজগার করে খাই, কাজের প্রয়োজনে সারাক্ষণ বাহিরে থাকতে হয়। আমার মেয়ে প্রায় সময়ই নুর ইসলামের ছোট মেয়ের সাথে তাদের বাসায় থাকে। আমার মেয়েকে দিয়ে তারা কাজও করায়, কিন্তু তারা যে আমার মেয়ের এতো বড় সর্বনাশ করবে কখনোই ভাবিনি। বুঝতে পারলে আমি মেয়েকে ওখানে যেতে দিতাম না।

তিনি আরো জানান- নুর ইসলাম আমার থেকেও বয়সে অনেক বড়, সে আমার ছোট মেয়েটার দিকে কু-নজর দিতে পারে না। আমার মেয়ের এ অবস্থার জন্য আমি তার কঠিন বিচার চাই।

ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, নুর ইসলামকে মুই খালু বোলাই, হ্যাগো ঘরে গেলে মোরে দোহানের সদয় আনতে দেতে আর হেরা খাইলে মোরেও খাওয়াইতে। তয় অনেক সময় খালু মোর দিগে ক্যামন হইরা যেন চাইতে। মাজে মাজে মোর গায় আত দেতে। হে কইতে তোরে মুই বিয়া হরমু, হেইলইগা মুই হের সব কতা হোনতাম।

পরে একদিন হের পোয়া আরিফ ভাইয়ায় কয় তুই যা করছো তা কিন্তু আমি জানি, এখন আমার সাথে না করলে সবাইকে বলে দিবো। হেইয়া কইয়া হে মোরে চাইপা ধরে এবং আরো দুইদিন মোর লগে এইয়া হরছে। এহন সবাই কয় মোর প্যাডে নাকি বাচ্চা অইছে, কিন্তু মোর খালু মোরে বিয়া হরে না।'

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে, এম, তারিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: