রাঙ্গাবালীতে নির্বাচনী সহিংসতায় চার মামলা
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ও একজন নিহতের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। গত সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে রাঙ্গাবালী থানায় ১৩০ জনের নামে ও প্রায় এক হাজার ৬০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে পৃথক এ মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে গত রোববার (২৬ ডিসেম্বর) ওই ইউপিতে পরাজিত দুই সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ এক পর্যায়ে গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সঞ্জিব দাস, (পটুয়াখালী):
পুলিশ জানায়, ভোটগ্রহণ শেষে ওই ইউনিয়নের নয়ারচর ও আন্ডারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোটগ্রহণকারী সংশ্লিষ্টদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। লাঠিচার্জের পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় অবরুদ্ধদের উদ্ধার করতে দুই কেন্দ্রে মোট ৩৭ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল খালেক হোসেন। তিনি নয়ারচর আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনটি ও নিহত আব্দুল খালেক হোসেনের স্ত্রী ফাহিমা বেগম বাদি হয়ে আরও একটি মামলা করেছেন।আন্ডারচর কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনার মূলহোতা মজিবর নামের একজনকে সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) গলাচিপা থেকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল (২৮ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকালে তাকে গলাচিপা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশের সূত্র জানায়, এ ঘটনায় বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল (২৮ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকালে ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল চরমোন্তাজে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।